ভূমিকা
আধুনিক মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EQ) নিয়ে বাংলা ভাষায় রচিত একটি অসাধারণ গ্রন্থ “ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স”। প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরীর এই বইটি শুধুমাত্র তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর একটি ব্যবহারিক গাইড।
বইটির গঠন ও বৈশিষ্ট্য
১. ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের মৌলিক ধারণা
- IQ ও EQ-এর পার্থক্য: কেন শুধুমাত্র বুদ্ধিমত্তাই সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না
- EQ-এর ৫টি মূল উপাদান (ড্যানিয়েল গোলম্যান মডেল অনুযায়ী):
- আত্ম-সচেতনতা
- আত্ম-নিয়ন্ত্রণ
- প্রেরণা
- সহানুভূতি
- সামাজিক দক্ষতা
২. বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে EQ-এর প্রয়োগ
✔ পারিবারিক সম্পর্ক উন্নয়নে EQ-এর ভূমিকা
✔ পেশাগত সাফল্য অর্জনে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব
✔ সামাজিক সম্পর্ক রক্ষায় EQ-এর ব্যবহারিক কৌশল
৩. ব্যবহারিক উন্নয়ন কৌশল
- আবেগ চিনতে শেখার ৩টি সহজ পদ্ধতি
- ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের ৫-ধাপ প্রক্রিয়া
- অন্যের অনুভূতি বোঝার প্রশিক্ষণ
বইটির শক্তিমত্তা
✅ বাংলাদেশি সমাজ ও সংস্কৃতির আলোকে রচিত
✅ গবেষণালব্ধ তথ্য সহজ বাংলায় উপস্থাপন
✅ প্রতিটি অধ্যায়ে ব্যবহারিক অনুশীলনী
✅ বাস্তব জীবনের উদাহরণ সমৃদ্ধ
যা উন্নয়নের দাবি রাখে
⚠ কিছু মনোবৈজ্ঞানিক পরিভাষার অতিরিক্ত ব্যবহার
⚠ আরও বেশি কেস স্টাডি থাকলে ভালো হতো
পাঠকদের জন্য বিশেষ উপকার
✔ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য: একাডেমিক সাফল্য ও সামাজিক দক্ষতা
✔ পেশাজীবীদের জন্য: লিডারশিপ ও টিম ম্যানেজমেন্ট
✔ পারিবারিক ব্যক্তিত্বের জন্য: সম্পর্ক উন্নয়ন
✔ সাধারণ পাঠকের জন্য: আত্ম-উন্নয়ন ও আবেগ ব্যবস্থাপনা
সর্বোচ্চ মূল্যায়ন
প্রফেসর মঈনুদ্দিন চৌধুরীর এই বইটি বাংলা ভাষায় ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ক একটি মাইলফলক। বইটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর গবেষণাধর্মী কিন্তু সহজবোধ্য উপস্থাপনা। যারা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সত্যিকারের সাফল্য অর্জন করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য গাইড।
রেটিং: ৪.৯/৫ ⭐
(আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক বাংলা ভাষার সেরা গ্রন্থ)
আপনার কপি কিনুন রকমারি.কম থেকে–