আবার সোহানা – মাসুদ রানা – কাজী আনোয়ার হোসেন (Abar Sohana – Masud Rana By Kazi Anowar Hossain)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

শাফুরাঃ কাদরিও ওকে খুব স্নেহ করেন।

জনসূত্রে ভদ্রলোক একজন ফিলিস্তিনি। তেল আবিবে তার
পৈত্রিক বাতি আছে। বাড়িতে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা ছাড়া আর
কেউ থাকে না। ইজরায়েল সরকার ভিসা ইস্যু করতে অস্বীকার
করায় স্ত্রী ও কন্যাকে কায়রোয় আনতে পারছেন না বলে দুঃখের
তার সীমা নেই।

সেই দুঃখ আরও অসহনীয় হয়ে উঠল স্ত্রীর সংবাদে ।
অকস্মাৎ হার্ট আযাটাকে মারা গেছেন ভদ্রমহিলা, কলার
সুযোগই দেননি ডাক্তারদের ।

শাফুরা তখুন কায়রোতেই। সামি কাদরির ফ্ল্যাটে সহানুভূতি
জানাতে এসে তার জিনিস-পত্র গোছগাছ করে দিল ও । সেদিনের
ফ্লাইটেই তেল আবিবে ফিরে যাচ্ছেন তিনি। চাকরিটা ছেড়ে
দিয়েই যেতে হচ্ছে, কারণ মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ায় তাকে একা
কোথাও রাখা সম্ভব নয়। আর কায়রোয় যে নিয়ে আসবেন সে
উপায়ই তো নেই। ইজরায়েল সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে,
কোন মুসলিম পরিবারের সবাইকে ভিসা দিতে নীতিগতভাবে
রাজি নয় তারা।

তারপর, একেবারে শেষ মুহূর্তে এই শোক আর দুঃখের
মধ্যেও একটা ভাল খবর পাওয়া গেল। “দা ডেইলি নাইল”
কর্তৃপক্ষ সামি কাদরিকে তেল আবিবে পত্রিকার স্থায়ী আবাসিক
প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ দান করেছেন ।

খবরটা শুনে কেমন যেন হকচকিয়ে গেলেন কাদরি, শাফুরার
দৃষ্টিতেও তা-ধরা পড়ল। ওর মনে পড়ল, গত কয়েক মাস ধরেই
একটু বেশি সজাগ, নার্ভাস আয় উত্তেজিত বলে মনে হয়েছে
জদ্রলোককে-যেন ভয়ঙ্কর কিছু একটা জানতে পেরেছেন, অথচ
কাউকে কিছু বলতে পারছেন না।

যাই হোক, সামি কাদরি নিজের দেশ প্যালেস্টাইনে ফিরে
গেলেন। শাফুরা ধরেই নিয়েছিল আর কখনও তীর সঙ্গে দেখা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top