নিচে “কাবুলিওয়ালা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” বইটির উপর একটি বিস্তারিত বাংলা রিভিউ দেওয়া হলো:
বই রিভিউ: কাবুলিওয়ালা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ ১৮৯২ সালে
ধরন: ছোটগল্প, সামাজিক ও মানবিক
সারসংক্ষেপ:
“কাবুলিওয়ালা” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কালজয়ী ছোটগল্প, যা মানবিকতা, পিতৃত্ব, প্রবাসজীবনের যন্ত্রণা এবং সম্পর্কের গভীরতা ফুটিয়ে তোলে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র রেহমত—a আফগান ফল বিক্রেতা, যিনি কাবুল থেকে কলকাতায় এসে ফল বিক্রি করেন। ছোট্ট মেয়ে মিনির সঙ্গে তার যে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা পাঠকের মনে গভীর দাগ কাটে।
বিশ্লেষণ:
এই গল্পটি শুধু কাবুলিওয়ালার জীবনের কাহিনি নয়, বরং এটি একজন পিতার অসীম ভালোবাসা ও আবেগের প্রতিচ্ছবি। মিনির সাথে রেহমতের সম্পর্কটি শুরু হয় একটি নির্দোষ বন্ধুত্ব দিয়ে, কিন্তু ধীরে ধীরে তা হয়ে ওঠে এক পিতৃস্নেহের প্রকাশ। গল্পে মিনির পিতা এবং রেহমতের মধ্যে যে সহানুভূতির বিনিময় ঘটে, তা বর্ণনায় অসাধারণ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত সংবেদনশীল ভাষায় কাবুলিওয়ালার অন্তর্দহন, শূন্যতা ও তার কন্যার প্রতি টানকে ফুটিয়ে তুলেছেন। লেখকের ভাষা সাবলীল ও আবেগঘন। সমাজ ও সংস্কৃতির ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও একজন মানুষ আরেকজন মানুষের জন্য কতটা অনুভব করতে পারে, তারই নিদর্শন এটি।
গুরুত্বপূর্ণ বার্তা:
গল্পটি আমাদের শেখায়—
- প্রতিটি মানুষ, তার জাতি, ধর্ম বা দেশের পরিচয় যাই হোক না কেন, একান্তভাবে একজন বাবা, একজন মানুষ।
- ভালোবাসা ভাষা, সংস্কৃতি বা সীমান্তের বাধা মানে না।
- সময় ও দূরত্ব সম্পর্ককে মুছে দিতে পারে না যদি আবেগ সত্যিকারের হয়।
উপসংহার:
“কাবুলিওয়ালা” কেবল একটি ছোটগল্প নয়, এটি এক অনন্য সাহিত্য সম্পদ যা আজও পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গল্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ভালোবাসা আর মানবিকতা—এই দুটোই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি। যারা বাংলা সাহিত্য ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই গল্পটি অবশ্যপাঠ্য।
আপনার কপি কিনুন রকমারি.কম থেকে–
এবং
বইটির ফ্রি সফট কপি ডাউনলোড করুন এখানে-