আবুল আসাদ রচিত সাইমুম সিরিজ বাংলাদেশের জনপ্রিয় উপন্যাস সিরিজ। এ জাতীয় অন্যান্য সিরিজের মতো নয়, সাইমুম কেবল তার পাঠককেই শিহরিত করে তা নয় বিভিন্ন তথ্যবহুল এবং শিক্ষামূলক জিনিসও সরবরাহ করে। লেখক আবুল আসাদ ১৯৭৬ সালে অপারেশন তেলআবিব বইয়ের মাধ্যমে এর সিরিজের যাত্রা শুরু হয়।
Title | সাইমুম সিরিজ ৩ : মিন্দানাওয়ের বন্দী |
Author | আবুল আসাদ |
Publisher | বাংলা সাহিত্য পরিষদ |
ISBN | 9844850134 |
Edition | 7th Published, 2011 |
Number of Pages | 144 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
মিন্দানাও- এর জাম্ুয়াঙ্গোতে একদল খৃস্টান মিশনারী উপস্থিত হলো। তাদের
নিরাপত্তার জন্য অতি নিকটে মরো উপসাগরের কূলে নোঙ্গর করা থাকল সজ্জিত
বিরাট এক রনপোত। জাহাজ থেকে মিশনারীর যখন নামত, তাদরে কোমরে
ঝুলানো থাকত লম্বা চোউওয়ালা রিভলভার। হাতে থাকত বই, বিস্কুট, সুন্দর
সুন্দর সিট কাপড়। তারা জামুয়াঙ্গোতে একটি বাইবেল শিক্ষার স্কুল খুলল।
প্রতিদিন সন্ধায় সেখানে নাচ গানের অনুষ্ঠান ও ছবি দেখানো হতো। স্বর্ণাভ চুলের
শেতাংগ তরুণীরা সেখানে নাচ গান করত্। অনেকদিনের চেষ্টার পর তারা
জানুয়াঙ্গোর আফানি গোত্রের সর্দার শরিফ আফানিকে হাত করল। তারপর শুরু
হলো জোর করে লোকদের বাইবেল স্কুলে ভর্তি, বাধ্যতামূলকভাবে ইংরেজী
শিক্ষা ও লোকদের নাম পরিবর্তনের পালা। জান্ুয়াঙ্গোর হুজুর মাখদুম (ওস্তাদ)
জাফর আলী মিশনারীদের এ আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করলেন। সেই দিন রাতেই
মাখদুম জাফর আলী জামুয়াঙ্গোর মসজিদে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হলেন। পরদিন
আফানি গোত্রের ক্রুদ্ধ লোকেরা হত্যা করল তাদের গোত্র প্রধান শরিফ আফানিকে
এবং সেই সাথে পুড়িয়ে দিল বাইবেল স্কুল। তারা উপকূল থেকে ত্তীর বৃষ্টি করল
মিশনারী রনপোতের দিকে। তীরের জবাবে জাহাজ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে এল
মেশিন গানের গুলী। এরপর জাহাজ থেকে কামানের গোলাবর্ষণ করে
জানুয়াঙ্গোর আফানি জনপদ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হলো। আফানিরা উপকূল
থেকে অভ্যন্তর ভাগে পালিয়ে এলো।
এই ঘটনার পর থেকে শুরু হল গুপ্ত হত্যার হিড়িক। মিন্দানাও এর
চারদিকে উপকূল সংলগ্ন স্থানে মিশনারী সাইনবোর্ডের আড়ালে প্রায় ২০টির মত
শ্বেতাংগ ঘাটি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। শক্তির ছত্রছায়ায় ওগুলো টিকে আছে। এখান
থেকেই দেশের অভ্যন্তরে গুপ্ত হত্যা চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৯৮ জন বিখ্যাত
মখদুম (ওস্তাদ বা মওলানা) নিহত হয়েছেন এবং এক হাজারেরও বেশী মুর যুবক
প্রাণ দিয়েছে তাদের হাতে।
কথার মাঝখানে আহমদ মুসা বলে উঠল, কি ভয়ংকর কথা । চলছে এটা
এখনও হাস্তাঃ