একটু চোখ বুলিয়ে নিন
গল্প শুরুর আগে
০১.
শহরে একসঙ্গে পাঁচজন মানুষের মৃত্যু হল। ভয়ংকর এবং রহস্যজনকভাবে । তাঁদের মধ্যে একটা ব্যাপারে মিল আছে, তারা সকলেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। দুজন মৃতের বিধবারা আসারে নামলেন। একজন বিখ্যাত শিল্পী ডায়না স্টিভেন, অন্যজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সুপার মডেল কেলি হ্যারিস। প্রতি পদক্ষেপে তাঁদের আতঙ্কঘন প্রহরের মধ্যে দিয়ে সময় কাটাতে হয়েছে । একে অন্যকে সন্দেহ করতে শুরু করলেন। সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার অপূর্ব সংমিশ্রণে তাঁরা কি শেষ পর্যন্ত এই লড়াইতে জয়যুক্ত হয়েছিলেন, নাকি তাদের পরাজয়ের গ্লানি বহন করতে হয়? কী আশ্চর্য, যে পুরুষদের তারা ভালোবাসতেন, তাদের মৃত্যু রহস্য অজানা থেকে গেল কি? এক হাড় হিম করা ষড়যন্ত্রের কাহিনী, আরও একবার আমাদের অবাক করে দেয়।
অবতরণিকা
বার্লিন, জার্মানি
সোনঝা ভারক্রগ ভেবেছিলেন কি, এই পৃথিবীতে আজই তার শেষ দিন? তিনি ব্যস্ত হয়ে তাকিয়ে ছিলেন পর্যটকদের দিকে । বার বার ভাবছিলেন, না, ভয় পেয়ে কী লাভ? আমাকে এখন ধৈর্য ধরতে হবে।
ফ্রানজের কাছ থেকে একটা খবর এসেছে, কম্পিউটারে । বলা হয়েছে সোনঝা পালিয়ে যাও, হোটেলে চলে যাও। সেখানে গেলে তুমি নিরাপদ, আমি তোমাকে ফোন না করা পর্যন্ত তুমি সেখানেই থাকবে…
মেসেজটা হঠাৎ শেষ হয়ে গেছে। কেন ফ্রানজ এটা শেষ করেনি? কিছু একটা হয়েছে কি? আগের রাতে সোনঝা শুনেছিলেন, তাঁর স্বামী কারো সাথে ফোনে কথা বলছেন। প্রাইমার নামটা বার বার উচ্চারিত হয়েছে। যে করেই হোক প্রাইমারকে বাধা দিতে হবে, কে এই প্রাইমার?
শ্রীমতী ভারভ্রুগ রাস্তায় এসে দাঁড়ালেন। একটু দূরেই ওই হোটেলটার অবস্থিতি। এখানে শুধুমাত্র মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে।
তিনি ভাবলেন, আমি ফ্রানজের জন্য অপেক্ষা করব। ফ্রানজ এলে সব কথা শুনব।
সোনঝা যখন পাশে এগিয়ে গেছেন, হঠাৎ ট্রাফিক আলো লাল হয়ে গেল। মনে হল, কেউ বোধহয় সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে। সোনঝা মাটিতে পড়ে গেলেন। উন্মুক্ত আচরণ । একটা লিমুজিন ধাক্কা দিয়েছে। লোজন হৈ-চৈ করতে করতে ছুটে এসেছে।
আপনি ঠিক আছেন?
একটা এ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে গেল, দুজন সহকারী নেমে এসেছে। তারা বলল, আমরা এই আহত মহিলার দেখাশোনা করছি।
একটু বাদে সোনঝা ভারভ্রুগ নিজেকে আম্বুলেন্সে দেখলেন। দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল। সোনঝা বললেন আমি ভালো আছি, আমায় ছেড়ে দিন। এ্যাম্বুলেন্সের দরকার নেই।
একজন সহকারী হাসতে হাসতে বলল- শ্রীমতী ভারভ্রুগ, শুয়ে থাকুন, চিন্তা করছেন কেন?
সোন অবাক হয়ে তাকালেন আপনি আমার নাম জানলেন কি করে?
মনে হল, একটা হাইপোডারমিক সূচ তার শরীরে প্রবেশ করেছে। একটু বাদে সব কিছু ঘন অন্ধকার!
প্যারিস, ফ্রান্স
মার্ক হ্যারিস ইফেল টাওয়ারের অবজারভেশন ডেস্কে একা বসে আছেন। টিপ টিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। না, সময়টা মোটেই ভালো না।
সিনে নদীর ধারে বিখ্যাত বাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে। সুসজ্জিত উদ্যান। তিনি কেবল প্রাইমারের কথা ভাবছেন। প্রাইমার সম্পর্কে যে আশ্চর্য খবরটা শুনেছেন, তার সত্যতা যাচাই করতে হবে।
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।