একটু চোখ বুলিয়ে নিন
যুদ্ধ করছিল রানা। পুবে ও আফগানিস্তান, পশ্চিষে ইরাক, তুরস্ক এবং
ই উর কন সাল আলা
এবং ওমান লদী।
যুদ্ধে হারজিত হবেই । একপক্ষ হারছিল, অন্যপক্ষ প্রবল হয়ে উঠছিল । শীতে
বরফের কুচি আর শ্রীঘ্ঘে আগুনের হলকা বর্তিত হয় । আজব এই দেশ। উত্তরাঞ্চনে
প্রচণ্ড প্রতাপ গরমের, মানুষ টিকতে পারে না। দক্ষিণাঞ্চলে শীতের জুলুমে মানুহ
পালায়।
জেগে উঠছিল রানা হেরে গিয়ে পালাচ্ছিল ঘুম ।
অমর কবি ফেরদৌসি ।, অমর ভার শাহনামা। চির উজ্জুল বর্ণালি-স্মি
পারস্যের।
জেগে উঠেছে রানা . রাত একটা বেজে দশ। মহাশূন্যের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে
মাটি স্পর্শ করছে বোয়িং-এর চাকা ।
প্ট্রলের ঝাঝ ঢুকল নাকে । এয়ারফিল্ড উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মধ্যরার্রি পেরিয়ে
যাবার পরও । রানওয়ের সীমানায় নীল বালবগুলো খোশআমদেদ জানাচ্ছে । রানা
লক্ষ করল প্রতিটি বালবের নিচে পেট্রল ল্যাম্প বসানো । ঢাকার কথা মনে পড়ে
গেল ঢাকার ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কর্তৃপক্ষও খামখেয়ালি করতে অভ্যন্ত। কিন্ত
ইরানে যেমন পার্ট নেই, পূর্ব বাউলায় তেমনি প্ট্রিল নেই ।
_ মেইন এয়ারপোর্ট বিন্ডিঙের সামনে দাড়িয়েছে প্রকাণ্ড 707 কয়েকটা প্লেম
দেখা যাচ্ছে আরও । পি.আই.এ.-র, এয়ার ইডিয়ার একটা করে বোয়িং, একটা
38500101780, কয়েকটা আযান্টিক ডাকো্টাও। ডাকোটানুলোর যে
বিভিন্ন মিউল-উস্টার্ন লাইন্সের ছাপ ।
ফুটবলের মত গোলমুখী স্টুয়ার্ডেসের পিছন পিছন প্যাসেক্সাররা এগোল ছা ;য়ে
ছ্টিয়ে।
এদিক-ওদিক তাকাল রানা ।
কেউ অপেক্ষা করছে বলে মনে হলো না। এয়ারপোর্টে থাকার কথা ছিল
‘একজনের’। অবজারভেশন ব্যালকনি খালি। বড় লিউমিনাস ঘড়ি বলছে একটা
হর থা ইকো আঠারোনভাবল রাহা থাকার কথা নিউ
যবে যব নরম ৷
কাচ ঘেরা গলি দিয়ে প্যাসেঞ্জাররা কিউবিকলে ঢুকল। কাচ ঘরে ভুরু নাচিয়ে
নাচিয়ে একজন ইরানিয়ান অঁফিসার ফরেন পাসপোর্ট পরীক্ষা করছে । রানারটা