একটু চোখ বুলিয়ে নিন
আপনার হাইট ছ’ ফুটের কাছাকাছি । বোধ হয় এক কোয়ার্টার ইঞ্চি কম, তাই তো? আপনাদের সোর্স অব ইনফরমেশন খুব পাকা । হ্যা। কিন্তু কলকাতার পুলিশের কিন্তু সুনাম নেই৷ পুলিশ কখনও সুনাম পায় কি? ওসব কথা থাক । আপাতত আপনি একজন ট্রেলার মালিক । কণ্টা ট্রেলার আপনার? চারটে । ও বাবা! গ্রেট ইনভেস্টমেন্ট! জীবনটা কিভাবে শুরু হয়েছিল? লেখাপড়া তেমন কিছু নেই। মাধ্যমিক টপকে গিয়েছিলাম ৷ বরাবর সার্কাসের খেলোয়াড় হওয়ার নেশা ছিল। হ্যা, সেসব আমরা জানি । সার্কাস ছেড়ে আপনি তারপর বোম্বের ফিল স্টান্টম্যানের কাজও করেছেন । কি রকম স্টান্টম্যান? আমি মোটরবাইক চালানোয় এক্সপার্ট ছিলাম । সেটাই কাজে লেগে যায়। আর উচু বাড়ির এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফানো | লাইফ রিস্ক ছিল বটে, তবে পেটেরও তো বড় দায়। হ্যা, পেটের দায়ে লোককে অনেক কিছুই করতে হয় । খুন-খারাপিও | তাই নাঃ দাশগুপ্ত সাহেব, আপনি কি পুলিশের স্টেটমেন্ট বিশ্বাস করেন? না। আবার অবিশ্বাসও করি না। আমি সত্যে পৌছাতে চাই। আমার বায়োডাটা কে তৈরি করেছে বলবেন? পুলিশ । তার কি কোনও প্রয়োজন ছিল? ছিল।
আমি কিন্তু ক্রিমিন্যাল নই। সেটা তদন্তের পর জানা যাবে । আপনি বোম্বে থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকা এবং সেটা আইনকে ফাকি দিয়ে! তাই নাঃ না। আইনকে ফাকি দিয়ে নয়। আমি বোষ্বেতে থাকার সময় একটা জাহাজের চাকরি পেয়ে যাই। খালাসির…………..
লেখক সম্পর্কে
জন্ম ২ নভেম্বর, ১৯৩৫ ।
দেশ__ঢাকা জেলার বিক্রমপুর ৷ মোক্তার দাদু আইন ব্যবসা জমাতে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন ময়মনসিংহে । সেখানে ব্রহ্মপুত্র নদীর ধারে জন্ম । শৈশব কেটেছে নানা জায়গায় । পিতা রেলের চাকুরে | সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায় । এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম ।
পঞ্চাশ দশকের গোড়ায় কুচবিহার | মিশনারি স্কুল ও বোর্ডি-এর জীবন | ভিকটোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ । কলকাতার কলেজ থেকে বি এ। স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে । স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু | এখন বৃত্তি-সাংবাদিকতা । আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত । ছাত্রজীবনের ম্যাগাজিনের গণ্ডী পেরিয়ে প্রথম গল্প-দেশ পাত্রকায় । প্রথম উপন্যাস “ঘুণপোকা? । “দেশ’ শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত | প্রথম কিশোর উপন্যাস__“মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ । কিশোর সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার । ১৯৮৯ সালে পেয়েছেন সাহিত্য আকাদমি পুরস্কার । আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন দুবার ।
খেলায় তাঁর উৎসাহ অদম্য । বকসিং, টেনিস, ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিস সম্পর্কে যেমন, আযাথলিটক্সেও তেমনই আগ্রহী । জীবনের এক সংকটময় মুহুর্তে তিনি
জীবনের প্রতি আস্থা ফিরে পান শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সান্নিধ্যে এসে | নিরামিষাশী । ঠাকুরের মন্ত্রশিষ্য । তাঁর রচনাতেও ঘুরে-ফিরে আসে আধ্যাত্মিক অন্বেষণ । পাঠক হিসেবে সর্বপ্রাসী | ধর্মবিষয়ক গ্রন্থ প্রিয়, প্রিয় গ্রিলার এবং কল্পবিজ্ঞানও ।