Gulag theke TwinTower by Abul Asad-37

গুলাগ থেকে টুইনটাওয়ার – আবুল আসাদ (Gulag theke TwinTower by Abul Asad)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

কাঁদছে মিসেস জোনস।
অঝোর ধারায় ঝরছে তার চোখ থেকে অশ্রু।
ঠোঁট কামড়ে কান্না চাপার চেষ্টা করছে পলা জোনস।
আহমদ মুসা ও হাসান তারিকের বিব্রত চেহারায় বেদনার একটা মলিন আস্তরণ নেমে এল।
‘স্যরি, এই মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করার কোন উপায় আমাদের ছিল না।’ বলল সে নরম ও বেদনা জড়িত কণ্ঠে।
ধীরে ধীরে চোখ খুলে মিসেস জোনস বলল, ‘বাছা তোমাদের কোন দোষ নেই। তোমরা আত্মরক্ষার জন্যে যা করার তাই করেছ। তা না করলে হয়তো তোমাদেরই মরতে হতো। এরা যে কতবড় খুনি বর্বর, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। আমার দু:খ……………..।‘
কথা শেষ করতে পারলো না মিসেস জোনস। কান্নায় ভেঙে পড়ল সে আবার।
সান্তনার কোন ভাষা খুঁজে পেল না আহমদ মুসা। বুক ভাঙা কান্না যাকে বলে সেই কান্না শুনে যাওয়া ছাড়া তাদের কোন উপায় ছিল না।
অস্বস্তিকর একটা অবস্থা।
চরম বিব্রতকর অবস্থা আহমদ মুসাদের।
অসহনীয় নিরবতাটা এবার ভাঙল পলা জোনস। মুখ থেকে রুমাল সরিয়ে নিয়ে চোখ মুছে বলল, ‘আপনারা না বললে ভাইয়া খুন হয়েছে বা মরে গেছে সেটাও আমরা জানতে পারতাম না। ওরা আমাদের জানাত না। বেশি পীড়াপীড়ি করলে আমাদেরই ওরা খুন করতো।
আহমদ মুসা মুহূর্তের জন্যে পলা জোনসের দিকে তাকাল। বলল, ‘স্যরি, আমি বুঝতে পারছি না, আপনি আজোরস-এর মানে পর্তুগালের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মী হয়েও ওদের ভয় করেন কেন? আপনি গোয়েন্দা বিভাগকে বলে তো এদের শায়েস্তা করতে পারেন।
ম্লান হাসর পলা জোনস। হাসিটা কান্নার চেয়েও করুণ। বলল, ‘বলে কোন লাভ হতো না। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এরা WFA এর ভাড়া করা লোক। আর আমাদের দেশের গোয়েন্দা প্রধান WFA এর চীফ আজর ওয়াইজম্যানের অন্ধ বন্ধু। আর আমি মাত্র কয়েকদিন আগে কাজে যোগদান করা একজন সামান্য গোয়েন্দা অফিসার।’
‘অন্ধ বন্ধু বলছেন কেন?’ বলল আহমদ মুসা। তার কণ্ঠে বিস্ময়।
‘আমাদের গোয়েন্দা প্রধান সকল নীতি-নিয়ম ভংক করে আজোরস-এর পানি সীমায় WFA-এর মিনি সাব ও অন্যান্য জলযানের অবাধ বিচরণের অনুমতি পাইয়ে দিয়েছেন এবং দূরের বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপ ওদের নামে লীজ করিয়ে দিয়েছেন।’ বলল পলা জোনস।
‘নাম কি দ্বীপটার?’ জিজ্ঞেস করল আহমদ মুসা।
‘দ্বীপের একটা নাম আছে, আমি শুনেছি। কিন্তু ভুলে গেছি নামটা।’ বলল পলা জোনস।
‘ম্যাপে নাম পাওয়া যাবে না?’ আহমদ মুসা বলল।
‘ফরমালি দ্বীপটার আলাদা নামকরণ হয়নি। মানচিত্রে পার্শ্ববর্তী দ্বীপের নামেই তাকে হয়তো ডাকা হয়। তবে লোক মুখে দ্বীপটার আলাদা একটা নাম আছে, তা আমি ভুলে গেছি।’ বলল পলা জোনস।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top