একটু চোখ বুলিয়ে নিন
সেলজুকিদের রাজত্ব ছিলো ইরাক সংলগ্ন-ও এর আশপাশের সুবিস্তৃত সাম রাজ্য
জুড়ে । সেলজুকিদের শাসনকালের পুরোটা ইসলাম ও মুসলমানদের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির
গৌরবময় অধ্যায় ছিলো না। অমুসলিম যুদ্ধবাজ সেলঙ্ুক ইবনে একায়েকের
বংশধরদেরকেই.সেলজুকি বলা হয়। প্রথম জীবনে সেলজুক ছিলেন তুকী রাজদরবারের
এক কর্মকর্তা । তার বংশধররা ছিলো স্বভাবজাত যোদ্ধা জাতি।
ইস্বলাম ও মুসলিম সাম্রাজ্যের স্থায়িতৃ, সমৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সেলজুকিদের
অবদান ইতিহাসকে অনবদ্য গতি এনে দেবে-মহান আল্লাহর বিধানলিপিতে বোধ হয়
তাই লেখা ছিলো। একদিন কি হলো! সেলজুক ইবনে একায়েক তুকী রাজদরবারের
কর্মকর্তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়ে তার বংশের সবাইকে নিয়ে বুখারায় পাড়ি
জমালেন। তার গোত্রের লোকেরা এই সংবাদ পেয়ে আর বিলম্ব করলো না, তারাও
বুখারায় গিয়ে নিজেদের ভিটেমাটির অদল-বদল করলো । তার মধ্যে এমন কিছু ছিলো,
নিজের এই অন্তর্নিহিত গুণপনা ও মুগ্ধতার কথা সেলজুক নিজেও অনুভব
করতেন। তার ভেতরের বলিষ্ঠ এক প্রতিভাধর সত্তী যে তাকে সবসময় আলোড়িত
করে রাখে তা তিনি বেশ উপভোগ করতেন। ভেতরের এই অদৃশ্য শক্তিমত্তাকে তিনি
কোন মহান কাজের জন্য ব্যবহার করতে চাইতেন। এজন্য তিনি এমন এক সজীব
বিশ্বাসবোধ ও কল্যাণ ধর্মের খোজে নিজেকে ব্যাপৃত রাখতেন অহর্নিশ যার মধ্যে
মানবতার হৃদয় সৌরভ করা অনন্ত আহান আছে, যার নিটোল স্পর্শে মানুষের সুস্ত
শুভাশুভবোধ জেগে উঠে।
নিলেন। তার স্বগোত্রীয় সবাইকে ইসলাষের পরিচয় দিয়ে বললেন সবাই যেন মুসলমান
হয়ে যায়। তারা তো নির্দেশেরই অপেক্ষায় ছিলো । সবাই মুসলমান হয়ে গেলো ।
তুকীস্তানে সেলজুকিদের জংলী, যাযাবর, হিং, সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে দূরের
এক জাতি হিসেবে প্রসিদ্ধি ছিলো। তারা এমন দর্গী যুদ্ধবাজ ছিলো যে, কেউ তাদের
দিকে চোখ তুলে তাকানোর দুঃসাহস করতো না। কিন্তু তাদের জীবনভাগ্যের জন্য
বিধাতার বিধান ছিলো ভিন্ন। সেলজুকিরা শুধু মুসলমানই হলো না, ইসলামকে তার
মহত্তম চূড়ায় বহাল রাখার সুমহান দায়িতৃও.কাধে নিলো ।
ধুলোয় ধূুসরিত ইসলামের পড়স্ত লাগামটি সেলজুকিরা কি করে সুরক্ষা দিয়েছিলো
সে এক চমকপ্রদ উপাখ্যান। যাদের জীবন ছিলো বর্বরতা ও যাযাবরের কালিমায়
আচ্ছাদিত তারাই হয়ে গেলো সভ্যতা-সংস্কৃতি ও মানবীয় সুবিবেচনাবোধের এক