একটু চোখ বুলিয়ে নিন
১. ম্যারি অ্যাসলে
গল্প শুরুর আগে
ম্যারি আ্যাসলে, এক উজ্জ্বল তরুণী অধ্যাপিকা, দুই সন্তানের জননী, তাকে কোনো এক লৌহযবনিকার অন্তরালে অবস্থিত দেশে পাঠানো হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত করে কিন্তু দায়িত্ব নেবার আগে দুজন শক্তিশালী শত্রু এসে দাঁড়াল তার যাত্রাপথে । তাদের মধ্যে একজন ত্যাঞ্জেল, ভয়ংকর শয়তান।
হোয়াইট হাউস থেকে প্যারিসের রূপসী রাস্তা, রোম থেকে বুদাপেস্ট শহরের উপকণ্ঠ- এইভাবেই তীব্রগতিতে এগিয়ে গেছে দুরন্ত দুর্বার ঘটনার পক্ষীরাজ।
দুজন পুরুষ ম্যারিকে সাহায্য করেছিলেন, একজন মাইক শ্লেট শক্ত মনের ডেপুটি চিফ, অন্যজন ফরাসি ডাক্তার লুইস ডেসফরগেস। কিছুদিন বাদে ম্যারি অ্যাসলে বিশ্বাস করতে বাধ্য হলেন, এই দুই সহকারীর কেউ একজন তাকে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চাইছেন…
এইভাবেই শুরু হয়েছে সিডনি শেলডনের জনপ্রিয় উপন্যাস “দ্য উইন্ড মিল অফ গড, অর্থাৎ ঈশ্বরের অভিশাপ!
পূর্বাভাস : পারজো ফিনল্যান্ড মিটিংটা অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটা আরামদায়ক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে, হেলসিঙ্কি থেকে দুশো মাইল দুরে পান্ডববর্জিত অঞ্চলে । কমিটির ওয়েস্টার্ন ব্রাঞ্চের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে এই মিটিং-এ এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা আটটি বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। ফিনিশ কাউন্সিল অব স্টেটসের এক প্রবীণ মন্ত্রী সবকিছুর দায়িত্বে ছিলেন। তাদের পাসপোর্টে কোনো সংকেত চিহ্ন রাখা হয়নি। বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে সশন্ত্র প্রহরীরা তাদের কাছে চলে গেছে। সাবধানে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে কেবিনে । যখন শেষ অতিথি এলেন, কেবিনের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল। জানুয়ারির কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে রক্ষীরা যে যার পজিশনে দাঁড়িয়ে পড়ল। কোনো আগন্তককে আজ এখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
অতিথিরা বসেছিলেন বিরাট আয়তক্ষেত্রাকার এক টেবিলের চারপাশে । তারা সকলেই রাজনৈতিক দিক থেকে স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব । দেশের কাছে এক মহান সত্তা। এর আগেও তারা একাধিকবার বিভিন্ন জায়গাতে মিলিত হয়েছেন, নানা পরিস্থিতির মধ্যে। এখন সাংকেতিক নামে তাদের ডাকা হবে, এভাবেই নিরাপত্তার বেষ্টনিকে আরও শক্ত করা হবে।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলেছিল, কোনো কোনো সময়ে তা উত্তপ্ত তর্কে পরিণত হয়।
শেষ অবধি চেয়ারম্যান কোর্টের কথা ঘোষণা করলেন।
শুর হল সমর্থনের লড়াই। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটাকে মেনে নেওয়া হল। কন্ট্রোলার সেটিকে নথিভুক্ত করলেন। স্থির হল পরবর্তী মিটিং-এ তারা এ বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা করবেন।
দু’ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট কেটে গেছে, টেবিল এখন একেবারে ফাঁকা। একদল মানুষ কেরোসিনের বোতল হাতে সেখানে চলে এলেন। টেবিলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল। এলোমেলো বাতাস লকলকে জিভ দিয়ে আগুনকে পরিব্যাপ্ত করল।
পারাহা থেকে ফায়ারব্রিগেড এল, দেখল, কোনো কিছুই সেখানে অবশিষ্ট নেই, শুধু জেগে আছে তুষারের আর্তনাদ ।
আরসন।
ফায়ার চিফ ধ্বংসস্তূপের দিকে তাকিয়ে আছেন, অদ্ভূত একটা মনোভঙ্গি জেগেছে তার, তিনি বললেন-এটা একটা অবাক করা কাণ্ড!
-কোনটা?
-গত সপ্তাহে আমি এখানে এসেছিলাম, এই অরণ্যে শিকার করতে, এখানে কোনো কেবিন ছিল না!
প্রথম পর্ব
০১. ওয়াশিংটন ডিসি
স্টানটন রজার্সকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বরণ করা হতে পারে। উনি এক আশাপ্রদ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য । একাধিক শক্তিশালী বন্ধ আছে তার। কিন্তু তিনি কি এই পদটা শেষ পর্যন্ত পাবেন?
স্টানটন রজার্স নিজেকে একজন ক্যাসানোভা বলে থাকেন। তিনি সুপুরুষ, অর্থবান, পৃথিবীর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন। কিন্তু এছাড়াও তার চরিত্রের কতকগুলো গুণ আছে। স্ত্রীকে প্রতারণা করার অনেক সুযোগ ছিল, তবু কখনও কোনো মহিলাকে তিনি স্বপ্নের মধ্যেও স্থান দেননি।
স্টানটন রজার্সেঁর স্ত্রী, এলিজাবেথ । সামাজিক, সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। তারা সর্বত্র একসঙ্গে চলাফেরা করতে ভালোবাসেন। যে মেয়েটির প্রতি রজার্সের সামান্য আসক্তি আছে, তিনি হলে বারবারা। ডিবোর্স হওয়ার পর, আবার বিয়ে করেছেন, বয়সে স্টানটনের থেকে পাঁচ বছরের বড়। মুখটা খুব একটা খারাপ নয়, কিন্তু তাকে সুন্দরী বলা যায় না।
স্টানটন একজন অ্যাথলিট, বারবারা যে-কোনো ব্যায়ামকেই ঘৃণা করেন। স্টানটন বহির্মুখী জীবনকে ভালোবাসেন, বারবারা একলা থাকার প্রত্যাশী । স্টানটনের রাজনৈতিক সত্তা উদারনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। বারবারা রক্ষণশীল সমাজের প্রতিভু।
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।