একটু চোখ বুলিয়ে নিন
চৌরঙ্গীর কন্টিনেন্টাল হোটেল ।
বিদায়ের আগে এক কাপ কফি খাচ্ছে রানা লাউঞ্জে বসে।
কফিটা এরা বানায় ভাল | সুটকেস গোছানোর ভার গিলটি মিঞার
ওপর ছেড়ে দিয়ে নেমে এসেছে ও চার তলার স্যুইট থেকে ।
ট্যাক্সির জন্যে বলা হয়েছে পোর্টারকে, এতক্ষণে এসে গেছে
হয়তো । যাত্রার সব আয়োজন শেষ | ভিয়েনায় চলেছে ও
ইন্টারপোলের এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি
হিসেবে ।
কফির কাপে তৃতীয় চুমুক দিয়েই কান খাড়া হয়ে গেল
রানার |
‘আচ্ছা এই হোটেলে মাসুদ রানা বলে কেউ উঠেছেন কি?”
কণ্তস্বরটা কাপা কাপা।
চট করে চোখ তুলল রানা | এক বৃদ্ধা | বয়স ষাট-পঁয়যন্্ির
কম হবে লা। সন্ত্তান্ত চেহারা ৷ বেশিরভাগ চুলই পাকা । হাতের
চামড়া ঝুলে পড়েছে, জরজর, কৌোচকানো । বা হাতে একটা
স্কুলটাচারী ছাতা আর উনিশশো ছত্রিশ মডেলের ভ্যানিটি ব্যাগ ।