একটু চোখ বুলিয়ে নিন
সে রাতে তুষার পড়ল। রাত তিনটের কিছু পরে কাঠের মেঝের ওপর
খুদে পায়ের আওয়াজ পেয়ে রোজকার মত ঘুম ডেঙে গেল লিন্ডা
হারমানের। ‘মাধি?’ বড় মেয়ে টুসির গলা । ভার বয়েস সাত, সেকেন্ড
গ্রেডে পড়ে; খাতায় নিজের নাম অথবা বড় দিন উপলক্ষে কেনাকাটার
ফর্দ এমন গভীর মনোযোগ ও যত্রের সঙ্গে লেখে, দেখলে মনে হয়
কলেজ পেরিয়ে আসা কোন মেয়ে চাকরির জন্যে দরখাস্ত লিখছে। লিন্ডা
সাবধানে পাশ ফিরল, ভয় লাগছে স্বামীর না ঘুম ভেঙে যায় । ঘর অন্ধকার
হলেও অনুভব করল মেয়ে খুব কাছে চলে এসেছে, আভন থেকে সদ্য
বেরুনো গরম ও তাজা রুটির মত টুসির গায়ের গন্ধ পেল সে। “মামি,
বাইরে তুষার পড়ছে।”
“জানি, মামণি। টিভিতে বলেছিল।’
“দুনিয়া সাদা হয়ে গেছে, মামি। যীশু দুনিয়াকে ভালবাসেন, তাই
সবটুকু সাদা করে দিয়েছেন।”
‘বাসেনই তো।’
ঘুমের মধ্যে নাক দিয়ে দুর্বোধ্য আওয়াজ করল জেমস হারমান,
বালিশ থেকে মাথাটা খানিক তুলে বলল, “শৃশৃশ্, চুপ!’ বালিশে মাথা
দিয়ে আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল সে।
“মামি, আমি বিছানায় উঠি?”
“অবশ্যই, মামণি।’ সরে গিয়ে বিছানায় জায়গা করল লিন্ডা, কম্বল
সরাল; বিছানায় উঠে মায়ের গায়ের সঙ্গে লেপ্টে গেল টুসি। লিন্ডা
অনুভব করল, পাজরের ভেতর মেয়ের হৃৎপিণ্ড ঘন ঘন লাফাচ্ছে। সর্দিতে
ভরে আছে নাক দুটো, নিঃশ্বাস ফেলছে শব্দ করে । মেয়েকে বুকে চেপে