একটু চোখ বুলিয়ে নিন
এক
রিপাবলিক অভ ফ্রান্স . …।
প্যারিস থেকে সামান্য দূরে ব্যক্তিগত মন্ত এক পার্কের মাঝে রাজকীয় বাগানবাড়ি
অক্টোবরের বারো তারিখ । সন্ধ্যা সাতটা ।
বোর্ডরুমের মিটিঙে যারা এ্সেছেন, সংখ্যায় তারা বারোজন !
সবাই পুরুষ ।
সবাই বিলিয়োনেয়ার।
এই বারোজনের ভিতর ষাট বছরকে পিছনে ফেলেছেন, দশজন। অন্য দু’জন বিশের কোঠায়। এদের বাবা এই কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন, নইলে হয়তো এখানে বসবার সুযোগ মিলত না এদের। কাউন্সিল নিশ্চিত হয়েছে- এদের বিশ্বস্ততা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবার কোনোই কারণ নেই।
এই কাউন্সিলে যোগ দিতে পূর্বপুরুষের বিপুল সম্পদ পেতে হবে, এমন নয়। তবে, এই কাউন্সিলের প্রায় সবাই তাদের বাবার কাছ থেকেই জন্মসূত্রে পেয়েছেন হাজার হাজার কোটি ডলার ।
বিশেষ এই কাউন্সিলের তরফ থেকে সাধারণত কাউকে সদস্য-পদ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় না।
এঁরা টাকার কুমির নন, একেকজন ডলার-পাউন্ড ও ইউরো কারেন্সির মস্ত সব কিলার ওয়েইল।
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সফ্ট্ওয়্যার কোম্পানির মালিক এই কাউন্সিলের সহ-প্রতিষ্ঠাকারী ।
পরেরজন বিখ্যাত কয়েকটি সুইস ব্যাঙ্কের মালিক ।
তৃতীয়জন সৌদি তেল কুবের।
চতুর্থজন বিশ্বের সবচেয়ে সফল স্টক ব্যবসায়ী ।
পঞ্চমজন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় শিপিং কোম্পানির হর্তাকর্তা ।
ষষ্ঠজন ইউএস ফেডারেল রিযার্ভের ভাইস চেয়ারম্যান ।
পাঁচ বছর আগে মৃত বাবার কাছ থেকে মস্ত এক ইস্পাত রাজত্ব পেয়েছে একজন । তার কোম্পানিগুলো ইউএস সরকারকে সরবরাহ করে মিলিটারি হার্ডওয়্যার এবং মিসাইল ।
কাউন্সিলে কোনও মিডিয়া ব্যারন নেই এর মূল কারণ, ধরে নেয়া হয়েছে, ধার এবং শেয়ার বাজারের কারণে যখন-তখন হ্রাস বা বৃদ্ধি পাবে তাদের সম্পদ । এই কাউন্সিল আসলে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে বড় সব ব্যাঙ্কের মাধ্যমে, কাউন্সিলের সদস্যরাই আকাশে তোলে বা ধুলোয় মিশিয়ে দেয় মিডিয়া ব্যারনদেরকে ।
একই কারণে কাউন্সিলে কোনও জাতীয় নেতা নেই। কাউন্সিলের সবাই জানে, খুব দ্রুত হারিয়ে যায় নেতাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা। মিডিয়া ব্যারণদের মতই, রাজনীতিকদের দাপট হঠাৎ করেই শেষ হয়। তার চেয়েও বড় কথা, এই কাউন্সিল অতীতে নানা দেশে প্রেসিডেন্ট তৈরি করেছে, আবার পছন্দ না হলে কান ধরে নামিয়ে দিয়েছে গদি থেকে । একই কথা খাটে স্বৈরশাসকদের বিষয়েও ।
অনেক আগেই স্থির হয়েছে, কাউন্সিলে রাখা হবে না কোনও মহিলাকে ।
অতীতে কাউন্সিলাররা একমত হন, কোনও মহিলাকে মিটিঙে বসতে দেয়া হবে না। তা সে রানি হলেও নয়। নামকরা ফরাসী কসমেটিক্স কোম্পানির মালিক লিলি মাখসাখের থাকতে পারে ত্রিশ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু কখনও তাকে আসতে দেয়া হবে না এই মিটিঙে।
উনিশ শ’ আঠারো সাল থেকে প্রতি বছর দু’বার করে মিটিঙে বসছে এই কাউন্সিল ।
কিন্ত এ বছর নয়বার মিটিঙে বসেছেন তারা ।
এই বছর আসলে নানাদিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ ।
সুইটযারল্যাণ্ডের ড্যাভোসে বাৎসরিক ওয়ার্ড ইকনমিক ফোরামে মিলিত হয়েছেন তারা । এ ছাড়া দুনিয়ার বড় সব ট্রেড অর্গানাইযেশনের মিটিঙেও। এমন কী একবার মিটিং হয়েছে ক্যাম্প ডেভিডে। তখন অবশ্য ওখানে ছিলেন না ইউএসএ-র প্রেসিডেন্ট ।
আজকের মিটিং বসেছে মস্ত বাগানবাড়িতে ।
দেখা গেল প্রত্যেকে হ্যা-সৃচক ভোট দিয়েছেন, অক্টোবর থেকেই শিকার শুরু । আজই গতানুগতিক চ্যানেলে
প্রকাশ করা হবে টার্গেটদের নাম। যারা বাউণ্টি নিয়ে আসবে, তাদের কাছ থেকে মাল বুঝে পেলে পাওনা পরিশোধ করবেন এজিএম-সুইসের মোসিউ পি. এস. ড্যাবলার ।
‘সবমিলে পনেরোটি টার্গেট । এ ছাড়া পরে আরও দুটো টার্গেট দেয়া হবে। প্রতিটি বাউন্টির জন্য দেয়া হবে তেত্রিশ মিলিয়ন ইউএস ডলার ।’
এর একঘণ্টা পর শেষ হলো মিটিং। টেবিলে পড়ে রইল নোট । সবার নোটপ্যাড উপুড় করে রাখা, কিন্তু চেয়ারম্যানের
সামনে টেবিলের উপর উল্টে গেছে প্যাডের পাতা ।
ওখানে রয়েছে নামের একটি লিস্টি:
নাম দেশ সংগঠন
ক্যাপলান, স্কট এম. ইউকে এসএএস
ডসন, রিচার্ড কে, ইউকে এমআই-৬
আযাটলক, হার্লি ইউএসএ ডেল্টা
এরিখ, সোলে টি. ফ্রান্স ডিজিএসই
কোসলোক্ষি, চার্লস্আর. ইউকে এসএএস
ওয়েলন, জে. ইউএসএ ডেল্টা
আজিজ আমিন লেবানন হামাস
রেইসার্ট,জন আর. ইউএসএ ইউএসএএমআরএমসি
রবিন, কার্টন, ইউএসএ ইউএস মেরিন
হ্যারিস, টেরেন্স এক্স, ইউএস আইএসএস
ম্যাকিন, ডেনিস ই. ইজরায়েল মোসাড
রানা, মাসুদ চৌধুরি. বাংলাদেশ বিসিআই
গ্রাঞ্জার, রেমণ্ড কে… ইউএসএ ইউএস মেরিন
আলাল, হোসেন সৌদি আরব আল-কায়েদা
অ্যামনন, আব্রাম ইজরায়েল আইএএফ
দুনিয়া-সেরা এলিট মিলিটারি ইউনিট, যেমন, ব্রিটিশদের এসএএস, ইউএস আর্মির ডেল্টা ডিটাচমেন্ট, মেরিন কর্পস,
ইজরায়েলি এয়ার ফোর্স, বা ইন্টেলিজেস এজেন্সি মোসাদ, বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স, সিআইএ ওরফে আইএসএস এর সদস্যদের ওই তালিকাকে হালকাভাবে নেয়া যায় না। এ ছাড়া, আল-কায়েদা ও হামাসের সদস্যদের নামও রয়েছে ওই তালিকায় ।
বিশেষ কাজে দক্ষ ওই লোকগুলো দুনিয়া জুড়ে নাম করেছে তাদের বিপজ্জনক পেশার কারণে ।
কিন্তু ভয়ঙ্কর শক্তিশালী কাউন্সিল স্থির করেছে– ওই
পনেরোজনকে আগামীকাল থেকে কুকুরের মত তাড়িয়ে হত্যা করা হবে। সেজন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র তিনটি দিন।
দুই
১৩ অক্টোরর।
স্থানীয় সময় সকাল নয়টা।
সাইবেরিয়ার এ অংশে শো-শো বইছে তুমুল মেরুঝড়, ধবল বরফ ছাওয়া জমির বুকে তীর্যক ভাবে নেমে আসছে নরম তুষারের পুরু শুভ্র চাদর ।
পৃথিবীর আরেক প্রান্তে ইউএসএ-র ই.এস.টি. রাত নয়টা,
১২ অক্টোবর ।
ঝড়ের অনেক উপর দিয়ে সাইবেরিয়ার আকাশে শব্দের গতির চেয়ে জোরে রকেটের মত ছুটে চলেছে একটি বিমান ।
কোন রাশান স্টেশনের রেইডার স্ক্রিনে একবারের জন্যও ধরা পড়েনি । প্রচণ্ড গতি ভেঙে দিয়েছে সাউন্ড ব্যারিয়ার, কিন্তু কোনও সনিক বুম নেই । এই বিমান ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক ওয়েভ-নেগেটিভিং সেন্সার ৷
সাধারণত এ ধরনের মিশনে পাঠানো হয় না মহামূল্যবান এই বিমান । রাগী ভুরুওয়ালা ককপিট উইন্ডো, কালো রেইডার-আব্সর্বেন্ট রং এবং অদ্ভুত ডানা নিয়ে বিদ্যুদ্ধেগে চলেছে বি-২ স্টেল্থ্ বোমারু বিমান । ওটা বহন করতে পারে চল্লিশ হাজার পাউন্ড অর্ডন্যান্স– তার ভিতর থাকতে পারে লেসার গাইডেড বোমা বা এয়ার লঞ্চড্ থার্মোনিউক্লিয়ার ক্রুজ মিসাইল | সাইবেরিয়ার মাঝের এই সুদীর্ঘ ভ্রমণে বোমারু বিমানে কোনও বোমা বা মিসাইল নেই।
মডিফাই করা হয়েছে বিমানের বম বে, সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে হালকা কিন্তু দ্রুতগামী একটি ভেহিকেল ৷ পাশেই ছয়জন ইউনাইটেড স্টেট্স্ মেরিন এবং দু’জন বাঙালি সেনা । শেষের দু’জনের একজন প্রাক্তন মেজর, অন্যজন বাংলাদেশ আর্মির সার্জেন্ট | দু’জনই কমান্ডো যোদ্ধা ।
স্টেলথ বোমারু বিমানের ককপিটে এসে ঢুকল বিসিআই এজেন্ট, মাসুদ রানা । ওর জানা নেই, গতকাল এই মায়াবী জগৎ থেকে ওকে বিদায় দিতে জারি করা হয়েছে নির্দেশ– দেখামাত্র হত্যা করতে হবে মাসুদ রানাকে, কেটে আনতে হবে তার মাথা ।
আসলে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাউন্টি হাণ্ট। ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর কিন্তু সুযোগ্য একদল লোক খুঁজতে শুরু করেছে মাসুদ রানাকে ।
ধূসর সাইবেরিয়ার আকাশে চোখ মেলে দিয়েছে রানা । পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি দীর্ঘ ও, সুঠামদেহী | ক্রুকাট চুলগুলো ঢাকা পড়েছে সাদা-ধুসর কেভলার হেলমেটের নীচে । মুখে এখন চিন্তার ছাপ। প্রচণ্ড চাপের মুখেও শীতল থাকে ওর ক্ষুরধার মস্তিষ্ক ৷ যারা ওর অধীনে কাজ করেছে, তারা বলেঃ ও এক অদ্ভুত মানুষ, ওর উপর ভরসা করা যায় নিশ্চিন্তে । সঙ্গিকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজ জীবনের ওপর ঝুঁকি নিতে সামান্যতম দ্বিধা করে না।
গত কয়েক ঘণ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত ছিল মাসুদ রানা । সে কথাই ভাবছে বি-২ বোমারু বিমানের ককপিটের ভিতর দাড়িয়ে ।
ফোনটা এসেছিল হঠাৎ করেই।
লস অ্যাঞ্জেলেসে রানা এজেন্সির নিজস্ব অফিসে চুপ করে ফাইল দেখছিল রানা । চটকা ভাঙল ল্যাণ্ড ফোনের রিং শুনে ।
রিসিভার তুলে কানে ঠেকাল রানা ৷ “হ্যালো?
“মেজর রানা?’ গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এল ওদিক থেকে ।
“কে বলছেন, প্রিজ।’
‘জরুরি আলাপ আছে আপনার সঙ্গে” বলল লোকটা । “আপনি হয়তো এ বিষয়ে আগ্রহী হতে পারেন ।’
“আপনি কে? আবার জানতে চাইল রানা ।
“আমি কর্নেল বব জেনকিন্স, মেরিন ফোর্সে আছি ।’
‘বলুন।” ততক্ষণে পুরো সচেতন হয়ে উঠেছে রানা ।
“ফোন করেছি আপনার এক বন্ধুর খবর জানাতে,” খুকখুক করে কাশলেন ভদ্রলোক । রিকন ইউনিট নিয়ে সাইবেরিয়ায় গেছে সে। সঙ্গে এক রিকন ডেল্টা ডিটাচমেন্ট ।” হঠাৎ করেই থেমে গেলেন তিনি ।
রানার মনে পড়ল, অ্যাণ্টার্কটিকার তুষার ছাওয়া এক নির্জন স্টেশনের কথা । ওখানে মস্ত বিপদ থেকে ওকে রক্ষা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল রবিন কার্লটন। হাসিখুশি মানুষ, উদার মনের, বন্ধুদের জন্য ঝুঁকি নিতে মোটেও দ্বিধা করে না। অল্প কিছুদিনের ভিতর ওরা হয়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু ।
কয়েক মুহূর্ত পর বললেন কর্নেল, ইউএসএ-র কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া একদল সন্ত্রাসী দখল করে নিয়েছে
সাইবেরিয়ার এক পরিত্যক্ত মিলিটারি শহর। তাদের ইচ্ছাঃ ওখানে গুদামজাত নিউক্লিয়ার মিসাইল ব্যবহার করে উড়িয়ে দেবে আরবের কয়েকটি দেশের রাজধানী । দু’একটা ফেলবে ওয়াশিংটন ডি.সি.-র ওপরেও ।’
‘এসব আমাকে জানাচ্ছেন কেন? সন্দেহ নিয়ে জানতে চাইল রানা ।
‘কারণ, আজ দুপুরে যোগাযোগ করেছে মেজর রবিন কার্লটন। ওই পরিত্যক্ত শহরে হেভিলি আর্মড সন্ত্রাসীরা সংখ্যায়
ওদের চেয়ে অনেক বেশি । শহরের কেন্দ্রে টুকবার পর ওদেরকে ঘিরে ফেলা হয়েছে। মস্ত বিপদে রয়েছে আপনার বন্ধু ।’ বিরতি দিলেন কর্নেল, তারপর আরারও বললেন, “আপনি এখন মেজর কার্লটনের কণ্ঠস্বর শুনবেন।’ রিসিভারের ভিতর খট্ আওয়াজ হলো, তারপর কথা বলে উঠল রবিন কার্লটনের রেকর্ড করা কণ্ঠ, “স্যর, পাতাল সাইলোর কাছে কোণঠাসা হয়েছি। মারা গেছে আটজন, বাকি ক’জন রয়ে গেছি না থাকার মতই । জানি না, এ ফাদ থেকে বেরুতে পারব কি না। আমাদেরকে ঘিরে ফেলেছে । বাইরে থেকে সাহায্য না পেলে মরতে হবে…” রবিনের কণ্ঠ হারিয়ে গেল, বদলে বলে উঠলেন কর্নেল, “আমরা চাই না রাশা জানুক আমাদের নেভি ও আর্মির দুই দল
কমান্ডোকে পাঠানো হয়েছে তাদের দেশের ভিতর ।
চুপ করে অপেক্ষা করছে রানা ।
‘আমরা আপাতত আরেকটা দল পাঠাব । কিন্তু সম্পূর্ণ প্রস্তুত রিকন ইউনিট এ মুহূর্তে এ রাজ্যের এ অংশে আমাদের হাতে নেই। ভোরের দিকে ডেল্টা ডিটাচমেন্টের এক প্রাটুন রওনা হবে, কিন্তু ততক্ষণে বহুকিছুই ঘটে যেতে পারে সাইবেরিয়ায় । সেক্ষেত্রে মস্ত সমস্যা হবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় । এর ফলে পারস্পরিক দোষারোপ থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও শুরু হতে পারে । সবই করতে হচ্ছে গোপনে । …ঠিক হয়েছে, আপনার পরিচিত সুযোগ্য এক নন-কমিশন্ড অফিসারের অধীনে প্রাথমিকভাবে ক’জন মেরিন সৈনিক পাঠাব আমরা । কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রার জন্য প্রস্তত হয়ে যাবে একটা বি-২ স্টেলথ বমার, কিন্তু আডমিরাল জর্জ হ্যামিলটনের সঙ্গে আলাপ করবার সময় তিনি বললেন, আপনি হয়তো যেতে চাইবেন বন্ধুকে উদ্ধার করার জন্য । আমরা আসলে চাইছি আপনি এ দলের নেতৃত্ব নিন।
আপনি চাইলে আমরা আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীদেরকে পুরোপুরি সশস্ত্র অবস্থায় বি-২ স্টেলথ বমারে তুলে দিতে পারি ।’
এক মুহূর্ত ভাবল রানা, তারপর বলল, “আপনার ‘ফোন নাম্বার দিন। আডমিরাল জর্জ হ্যামিলটনের সঙ্গে কথা বলে
আপনাকে ফোন দেব ।’
লিখে নিন নাম্বার ।” গড়গড় করে সংখ্যাগুলো দু’বার বললেন ভদ্রলোক, তারপর রেখে দিলেন ফোন ।
প্যাডে কর্নেলের ফোন নাম্বার তুলে নিয়েছে রানা । এবার দেখে নিশ্চিত হলো, লস অ্যাঞ্জেলেসের বাইরের এক এয়ার বেস থেকেই ফোন এসেছে ।
এরপর দেরি না করে যোগাযোগ করতে চাইল রানা নুমার চীফ অ্যাডমিরাল জর্জ হ্যামিল্টনের সঙ্গে।
ভদ্রলোক এ সময়ে থাকেন নুমা অফিসে ।
তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিল রানা ।
একবার রিং হতেই ওদিক থেকে ভেসে এল, “হ্যালো, রানা? কী খবর, মাই বয়?’
“ভাল আছি, স্যর । আপনি কেমন আছেন?”
ভাল ।’
কর্নেল বব জেনকিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ।
হ্যা, বিশ মিনিট আগে । যা শুনলাম, ‘তোমার বন্ধু রবিন……
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।