একটু চোখ বুলিয়ে নিন
এক
শুরু হলো আরও একটি কর্মব্যস্ত নতুন দিন।
সলীল সেন এল নীল ইয়ামাহা মোটর বাইকে চড়ে, ঠিক পৌনে ন’টায়।
পরনে সাদা ট্রাউজার, কোমরে গোঁজা সাদা শার্ট, পায়ে সাদা জুতো, মাথায় কার্নিসওয়ালা সাদা সুতী ক্যাপ। তার পিছনে যেন আগুন লেগেছে। রুজ আর লিপস্টিকের উদার ব্যবহারে ফর্সা মুখ লাল হয়ে আছে পপির! তার শাড়ি লাল, ব্লাউজ লাল, স্যান্ডের জোড়াও তাই। পিছনে বসে এক হাতে সলীলের কোমর জড়িয়ে ধরেছে, গালের একটা পাশ ঠেকিয়ে রেখেছে সলীলের চওড়া পিঠে। সাদা শার্টে লালচে একটা ছাপ ফুটছে–হৃদপিণ্ড আকৃতির ।
লুকিয়ে চুমো-টুমো খেতে গিয়ে যে ক’বার ধরা পড়েছে ওরা, প্রতিবার মৌলভী ডেকে বিয়েটা পড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়েছে রানা। বলাই বাহুল্য, এ ব্যাপারে রানার চেয়ে পপির উৎসাহই ছিল বেশি। কিন্ত হাতে পায়ে ধরে, কান ধরে ওঠ বস করে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছে সলীল বন্ধুদের কাছ থেকে। অবশ্য পপির সাথে তাকে একটা, অ্যারেঞ্জেমেন্টে আসতে হয়েছে। শ্যামলীতে ছোট্ট একটা জায়গা কেনা হয়েছে, ওদের দু’জনের নামে, কিন্ত সলীলের টাকায়। হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ‘লোনও পাশ হয়ে গেছে, যে-কোনদিন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে। মাথা গোঁজার ঠাই হয়ে গেলেই বিয়েটা করে ফেলবে ওরা । ইদানীং খুব হিসেব করে চলছে দুজনেই, ফালতু একটা পয়সাও খরচ করে না। পপির রিকশা ভাড়া বাচাবার জন্যেই রোজ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নেয় সলীল, অফিস ছুটির পর পৌছেও দেয়। আর প্রতি মাসে শাড়ি কেনার ঝোকটাকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে পপি।
সাততলা বিল্ডিঙের সামনে থামল ইয়ামাহা | নামল ওরা । বাইক লক করে পপির হাত ধরে সিঁড়ির ধাঁপ তিনটে টপকাল সলীল, দারোয়ানের সসম্ভ্রম সালামের উত্তরে ছোট্ট করে মাথা ঝাঁকাল। সুইং ডোর ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ল ওরা । বড় হলরূমের একধারে সিড়ি, আরেক ধারে এলিভেটর। দুঁদিকেই ফাস্ট আওয়ারের ব্যস্ততা । এরা সবাই একতলা থেকে পাঁচতলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন। আন্ডারগ্রাউন্ড ও ছয় ও সাত তলার দুটো ফ্লোর নিয়ে বাংলাদেশ কাউট্টার ইস্টেলিজেন্স। একটা কোণের দিকে এগিয়ে গিয়ে বাক বাক নিল ওরা। পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে মাথায় প্রাইভেট লেখা নিয়ে একটা এলিভেটর এবং শুভ্রকেশ নিয়ে এক্স মিলিটারিম্যান হাসান। সসম্মানে সালাম করুল সে। হাসানের বয়স ষাট ছাড়িয়ে গেছে কবেই, কিন্ত এই বয়সেও শরীরে শক্তি রয়েছে প্রচণ্ড। হাত খালি, কিন্ত পোশাকের ভেতর লুকানো আছে ফায়ার আর্মস। দাড়ি গোফ নিখুত ভাবে কামানো। চকচকে
পিতলের বোতাম লাগানো কড়া ভাজের খাকী ইউনিফর্ম।
এলিভেটরে করে ছয়তলায় এল ওরা । সামনের বড়সড় রিসেপশন হল। মস্ত একটা ডেস্ক নিয়ে চেয়ারের ওপর শিরদাড়া খাঁড়া করে বসে আছে ইলোরার ছোট বোন শ্রীমতী অজন্তা। তার লাল টিপ আঁকা কপাল থেকে আধ হাত উচু হয়ে আছে ফাপানো চুল। কানে ঝলমলে ঝুমকো ! ওদেরকে দেখে তার মুক্তো ঝরা হাসি ছড়িয়ে পড়ল সারা মুখে। হাত ধরাধরি করে করিডরে বেরিয়ে এল ওরা । দু’পাশে পারি সারি অফিসরুম । পর্দার ফাঁক দিয়ে কর্মব্যস্ততার টুকরো ছবি চোখে পড়ল । কানে হেডফোন এটে বসে আছে দশ বারোজন অপারেটর । সকাল ছ’টায়, পালাবদলের সময় অফিসে পৌঁচেছে টেফনিশিয়ানরা । টেবিলের ওপর টেলিপ্রিন্টার, ওয়ারলেস সেট, টিভি স্ক্রীন, ইন্টারকম, টেলিফোন টাইপরাইটার, মিনি কমপিউটর ইত্যাদি । দেয়ালে নানা ধরনের চার্ট আর ম্যাপ। ‘শেষের ‘আটটা রুম আটজন এজেন্টের! এপাশে চারটে, ও-পাশে চারটে । ডানে পাশের প্রথমটাই সলীলের । ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে আরও অনেক এজেন্ট রয়েছে, কিন্ত হেডকোয়ার্টারে বা অন্য কোন ব্রাঞ্চ অফিসে তাদের বসার কোন ব্যবস্থা নেই। এদের কাউকে কাউকে কঠোর ভাবে নিষেধ করা ‘আছে, অফিসের ত্রিসীমানায় ঘেঁসতে পারবে না। সাধারণত এদের দুজনকে নিয়ে একটা টীম তৈরি করা থাকে, যেকোন একজনের সাথে যোগাযোগ করে দু’জনকেই প্রয়োজনে নির্দেশ দিতে পারে হেডকোয়ার্টার।
এরপর গাড়ি হাঁকিয়ে এল জাহেদ । হাতে একটা ব্রীফকেস।’ ছয়তলায় উঠে সরাসরি সলিলের কামড়ায় ঢুকল সে। ব্রীফকেসে পাসপোর্ট, ভিসা, প্লেনের টিকেট সব নিয়ে এসেছে, আজই দুপুরের ফ্লাইটে নয়া দিল্লী চলে যাচ্ছে বিশেষ একটা জরুরী কাজে। ও ঢাকায় কয়েকদিন থাকবে না, কাজেই ওর প্রাইভেট সেক্রেটারি রুমানা ছুটি নিয়েছে-চা খাবার, উপায় নেই। একটা মতলব নিয়ে সলীলের কামরায় ঢুকল সে।
রুপা আসবে না, সে ছুটিতে আছে। আর দীনাকে পাঠানো হয়েছে লেবাননে।
ন’টা বাজতে দশ মিনিট বাকি থাকতে এল রাশেদ। চারদিন পর আজ এল সে। জটিল একটা অ্যাসাইনমেন্ট খুব ব্যস্ত। কিস্ত-সেটা শেষ করার আগেই সলীলকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশের বাইরে চলে যেতে হতে পারে যে কোনদিন নতুন একটা আসাইনমেন্ট নিয়ে । হাতের কাজটা নিয়ে সলীল বা সোহেলের সাথে কথা বলা দরকার, তাই এসেছে সে।
মাসুদ রানা আসবে না। আসবে না সোহানাও। দিন তিনেক ভারত, দু’দিন শ্রীলংকা. একদিন মালয়েশিয়ায় কাটিয়ে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ওরা । দেশের নতুন গড়ে উঠা একটা ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করার একটা বিদেশী চক্রান্ত ধরা পড়েছে, সেটাকে বানচাল করার দায়িত্ব পড়েছে ওদের কাধে । যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডা যেতে হতে পারে ওদেরকে।
সাধারণত সাড়ে আটটার মধ্যে অফিসে পৌঁছে যায় সোহেল। কিন্ত আজ সে ছ’ঘন্টা আগে পৌছেছে, রাত আড়াইটায়।
মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাহাত খান ঠিক কখন অফিসে আসেন বা বেরিয়ে যান, কেউ তা সঠিকভাবে জানে না, সম্ভবত ছটা থেকে সাতটার মধ্যে পৌছান তিনি। কিন্ত আজ তিনি সোহেলের চেয়ে, দু’মিনিট আগেই পৌচেছেন।
জাহেদ মুখে চায়ের কথা শুনেই-শর্ত দিয়ে বসল সলীল, “আগে সিগারেট বের কর।
শালা হাড়কিপটে! ভেবেছিল সিগারেটের পয়সা বাঁচিয়ে বাড়ি তুলবি… ঘরে ঢুকল রাশেদ। মুখটা থমথমে । ওর চেহারা দেখেই অস্বস্থিকর একটা নীরবতা নেমে এল ঘরে। ক’দিন ধরেই একটা ব্যাপার নিয়ে সবাই খুব উদ্বেগের মধ্যে আছে ওরা ৷
তেল আাবিবে’ বাংলাদেশের একটা স্পাই টীম কাজ করছে, যতটা না বাংলাদেশের স্বার্থে তারচেয়ে বেশি মুসলিম আরব দেশ আর ফিলিস্তিনীদের স্বার্থে। লেবানন, সিরিয়া আর সৌদি আরবের স্পাই নেটওয়ার্ক তেমন শক্তিশালী নয়, তেল আবিব থেকে তাই তথা সংগ্রহের কিছু কিছু বিপজ্জনক কাজ বাংলাদেশ করে দেয়। তেল আবিবে বি. সি. আই-এর যে টিমটা কাজ করছে তার, সাথে সরাসরি রেডিও যোগাযোগ আছে হেডকোয়ার্চারের | কিন্তু আজ সাতদিন হলো সেই রেডিও যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ। আট দশ জন এজেন্ট কাজ করছে ওখানে, তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে কিছুই জানা যাচ্ছে না। লেবাননী মেয়ে আয়েশা ওদের লিয়াজো অফিসার, তার নিজের কাছেও, একটা ‘অতিরিক্ত রেডিও থাকার কথা, কিন্তু সেটাও গত সাতদিন থেকে নিশ্চুপ। সবাই আশংকা করছে নিশ্চয়ই ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটেছে কিন্তু ভাল-মন্দ কোন খবর না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
“সোহেলের কামরা থেকে এলি বুঝি? জানতে চাইল সলীল।
হ্যাঁ, ব্যস্ত হাতে একটা সিগারেট ধরিয়ে বলল রাশেদ। দীনা ফিরে আসছে।
“খারাপ খবর?” চাপা গলায় জানতে চাইল জাহেদ ।
টেলিফোনে কিছুই জানাইনি, বলল রাশেদ। সিগারেটের প্যাকেটটা সলীলের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে ডেস্কের এক কোণে উঠে বসল। চার্টার করা প্লেন নিয়ে আসছে, ঢাকায় ল্যান্ড করার কথা রাত আড়াইটায়, কিন্তু যান্ত্রিক
গোলযোগ দেখা দেয়ায় লেট হচ্ছে। । যেকোন মুহূর্তে পৌছে যেতে পারে।
এরপর আর আড্ডা জমার প্রশ্ন ওঠে না। চা আনল পপি, সিগারেট ধরাল সলীল আর জাহেদ । কারও মুখে কথা নেই। তেল আবিবে ঠিক কি ঘটেছে জানার জন্যই লেবাননে পাঠানো হয়েছিল দীনাকে। কোন বার্তা না পাঠিয়ে চার্টার করা প্লেনে ফিরে আসছে সে, তার মানে খবর নিশ্চয়ই ভাল না।
ঠিক এই সময় করিডরে হাইহিলের খট খট আওয়াজ শুনতে পেল ওরা ।
খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে।
একমুহূ্র্তে মুখ চাওয়াচাওয়ি করল ওরা, তারপরই ভিড় করে এগোল দরজার দিকে । বাইরে বেরিয়ে এল চারজন। দেখল, ওদের দিকেই দ্রুত এগিয়ে আসছে।
কখনোই মেকআপ ব্যবহার করে না দীনা, তার কোন দরকারও পড়ে না, কারণ অসাধারণ সুন্দরী সে, ডানাকাটা পরী বললেও চলে । প্রায় সাড়ে পাঁচ ফিট লম্বা, এত লম্বা মেয়ে বি.সি’আই.এ আর দ্বিতীয়টি নেই । মুখটা লাল হয়ে আছে, চোখে ক্লান্তি উষ্কখুষ্ক চুল। কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে সে। চেহারায় দিশেহারা একটা ভাব।
ওদের কারও দিকে তাকাল না দীনা, পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।
“দীনা?’ জিজ্ঞেস করল সসীল, “খবর কি?
উত্তর দিল না দীনা, বোধহয় শুনতেই পায়নি, হাইহিলের খটাখট আওয়াজ তুলে সাততলায় ওঠার সিঁড়ির দিকে চলে গেল।
ছোট নিষ্পাপ একটি শিশু। হাস্যোজ্জ্বল, নির্মল, পবিত্র-ঠিক যেন একটি দেবশিশু, ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে এই বুঝি হামাগুড়ি দিয়ে নেমে এল। ওয়াশিংটন, হোটেল হিল্টন, ছাব্বিশ তলার একটা কামরা। খোলা একটা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে সোহানা, দেয়ালে লটকানো ক্যালেন্ডারের ছাপা ছবিটার দিকে মুদ্ধ চোখে থাকিয়ে আছে । ক্লিক করে একটা অস্পষ্ট শব্দ হলো, চমকে উঠে ঘাড় ফেরাল সোহানা । ‘এর মানে?” ঘুরে দাড়াল সে।
মেখেত্রে, কার্পেটের ওপর প্রায় শুয়ে পড়েছে মাঃ রানা চোখ কে
কাসেরা সরিয়ে মুবি হাসল ও। ই হিবিটাডেছি পোজিবিপহে , মাম
সাংঘাতিক লঙ্জা পেগ সোহানা, সেটা নুকাবারি জল্গেই কিল তুলল
সে। “ভাল হবে না বলে দিজ্ছি।’ | …
আহ্, নোড়ো নার করে দিয়েস্সাবার চোখে কাষেরা তুলল
বাসা । ‘তোসার এই রপরজিনী মুর্টিটা ও ধরে বাসি ছেলেমেয়েরা বুঝে ওদের
মা শুধু কারাতে-কুংফু নয়, দেশীয় ভৌশগ- কিছু কিছু জানত আবার ক্রিক
‘শুধু অনভাতা বলে ঘুরশ বোহাবা, একটু সবে খোদা জানলার সাসদে
রি দিল ভ্রাকাশ। বন্দী বিহজী, বলেছ আর্ত শার্চীরে চাশ দিল কনা ।
কা ।
সোহানা লড়ল লা। ফ্লাত তার একপাশে, হাতিখানেকের মধ্যে চলে এল
রানা । চোখে কামেরা | পাথরের মৃত্ির মত দাড়িতর প্রাকল সোনা,
ব্যাপারটা উপভোগ করলেও চেত়ারায় ভার কোন ভাব ফুটতে দিল না,
ক্যাহারুর মত নাফ দিয়ে ছত্ত জায়গা বদল করছে ব্রানা, বিভিন্ন আঙ্েল
থেকে একেত্র পর এক হবি সুলে চলেছে। “ম্যাডাস, একবার লেন্সের দিকে
তাকাবেন, রীতা 7 . |
এই সষয় বাধা । ক্রি ক্রিং। পাশের ঘরে টেলিফোন বাজছে ।
ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল সোহানা । কে হতে শারে?’
ক্যােরাটা কাখে-ঝুদ্টিয়ে দুই ঘরের মাঝকীনের দরজার দিকে এগোল ও ।
অই গলার আওয়াজ চিনতে ভুল হওয়ার কথা লয় । তবু নিজের কানকে
|
দা দামি একটা ক্লাভার করে ফেলেছি, রানা । সর্বশাশ হয়ে গেছে] আমিই
. এতে দুকে ভূত দেখার মত চমকে উঠল সোহানা । ব্রতশন্য, ফ্যাকাসে
হরে গেছে বানা টহাদা চোখ দুটো অবিষথানে নিসার পরিলিতারটা তে
ভোম্েছেশে ধরে আছে, মলে হলো ভেঙে যেডে পারে ওটা ।
‘* ক্যা ।’ সুখ দিয়ে আর কোন কথা সরল লা রানার ।
. পবিশি.আই. থেকে রিজাইন করছি আঙি,’ রাহাত খাদ মুকা। খেকে
স্বললেন, সাথে সাথে বন করে মাথাটা ঘুরে গেল রানার । “ডিসিশন নিয়ে
ফেলেছি, ভাবলাম রিজাইল লেটার সই করার আগে তোমাকে ব্যাপারটা
জানাই । বুড়ো হয়ে গেছি তো, কাজে ভুলভাল হয়ে যাচ্ছে; এত বড় একটা
দারিড় কাধে রাখা আর সাজে না।’ ,
সার কয়েকটা মুহূর্ত, ভারপরুই নিজেকে সালে লিল রানা । বিপদ আচ
করেরপারদেকোখেকোছেন হাতি য় ওস আজও তার হাতিম লো
এখন আর মাথা ঘুরছে না। আগেও চোখে ঝাপসা দেখছিল, ঠি
হয়ে গেছে। শা, অবিচলিভ দেখাল ওকে । ঠাণ্ডা দৃষ্টিতে ভাকিয়ে আছে সাদা
আছে ওর দিকে, সেদিকে কোন খেয়াল নেই ওর ।
শান্ত গলায্র জানতে চাইল রানা, “কি হয়েছে, স্যার? সব খুলে ধন
আমাকে ।’ ্
‘ত্রেল আবিবে আমাদের সব লোক ভ্িওনিস্ট ইস্টেজিভ্রোনের হাতে ধরা
পড়ে গেছে, রাহাড খাল বলমেন। ‘ধরা পড়ার সময় বাধা দিতে গিয়ে দারা
কেউ যেন লোহার ভাঙ দিয়ে রানার হপিগটা সঙ্গোরে চেপে ধরল:
এই তিলঙ্গলকে নিজের হাতে ট্রেনিং দিয়েছিল ও । আবার ঝাপসা হয়ে ল
ছোখ। সেই সাথে কঠোর হয়ে উঠল চেহারা । বসকে বাধা দিয়ে জানতে
চাইল, “আর সবাই? . ৃ
‘আয়েশাও মারা গৈছে। বাকি পাছজনের বিচার হবে, বললেন রাহাত
থান । “কি বিচার হবে, জানোই তো । ফায়ারিং স্কোয়াড
জিদ্ছেন করুন, ‘ওদের কাছে নিশ্চয়ই বাংলাদেশী পাসপোর্ট ছিল লা? আমি
জানতে চাইছি, ওয়া বাংলাদেশী বা বাংলাদেশের হবে কাজ করুছিল তা কি
‘জানবে বা জেনেছে, কিন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারবে না, বললেন
রাহাত খান। কিন্তু প্রমাণ করতে পারুক বা না পাকুক, আমি শেষ, বানা ।
আমার সরে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই! দুঃখ কি জানো, বা্থতা প্রানি
‘শার,’ বাধা দিল রানো :
অপরপ্রাস্ত্ে থকে গেলেন রাহাত খান। রানার গলায় একট্র যেন
কাঠিনা।
কয়েক সেকেভের ঠান্ডা নীরবতা । তারপর আবার বলল রানা, “স্যার,
আপনার কান্ক থেকেই শিখেছি, বিপদে অস্থির হতে নেই । আমার অনুরোধ,
আমি ঢাকায় না ফেরা পর্মন্র আপনি কোন নিক্ধান্ত নেবেন না ।’
ব্যাপারটা তুমি বুঝছ না, রানা । নিজের ব্র্থতা আমি-* ২
‘এই বিপায়ি কেন ঘটেছে, আমি অনুণান করতে পারি, সার” বলদ
কানা । বসের কথা যেন শুনতেই পায়নি ও। “তিনদিনের মধ্যে আমি একটা
ইমার্জেসী স্কীম পাঠ্সাচ্ছি। ওটা হাতে পেলে আপনি কাজ শুরুতে
আমি ঢাকায় ফিরি, তারপর দেখা যাবে ।’ ১. * ৫
একথা তো ঠিকযে আমি বুড়া হয়েছি.” রামাকে বোঝাবার শেষ
চেটা করলেন রাহাত শান। তি ০০০
‘এ-কখাও তো ঠিক যে বয়স বাড়ান. সাথে সাথে আপনারডিভ্কতা
জ্ঞান এইববও বেড়েছে । সেসব থেকে আমজা বঞ্চিত হতে চাই লাভার)
আর কবনও অনুভব করেনি) ্
বরাত আটটা ।
কারাতে আনা ানে। সামনের ঘরটা খেকে মাবেসংখা খনবন আওয়াড
তেলে আসনে, অং স্যাপাজ্িনের পাতা ওল্টা নহে শারভিন, সোহেলের
প্রাইভেট সেক্রেটারি । নিজের ঘরে চেয়ারে হেলান দিয়ে চোব বুজে রয়েছে
সোহেল ।- বস্ ডাকবেন, তারই অপেক্ষায় রয়েছে ও । পাচ্টা বাজতে কয়েক
সোহেল ভানলে আকাশ থেকে পড়বে ওকে নির্দেশ দিয়ে অফিস থেকে
বৈরিয়ে গেছেন বাহাত খান।
দীনা সেবানন থেফে ফিরে এসেছে আশ্ত তিন দিন। দুঃসংঘাদটা যাদের
জানার “চারা জেনেছে, কিন্ত খ্যাপারটা নিয়ে কারও সাথে আলাপ করেননি বা
কাউকে কোন নিদেশ এখনও দেননি রাহাত খান। খত ভিন লিন নিজের
চেম্বারে কাউকে তিনি ডাকেননি, সবশুলো আপস্েনটমেন্টও বাতিল বরে,
দিজেছেন।.গোটা অফিস্ই একটা বিষগ্র, খমধনে ভাব । তেল আবিবে নয়জন
এক্েস্টকে হারিয়েছে বি.সি.আই.। এদের তিনজন টেলি, পেয়েছে
বেডকোয়ার্টার থেকে । বাকি ছয়জন বাংলাদেশীও নয়, বি.সি-আই.
হেডকোয়ার্টারের সাথে তাদের পাচজনেরই কোন যোগাযোগও ছিল না।
বাকি একজন, লিয়াজো অফিসার আলেশা স্ঞামালেক বাংলাদেশী না হলেও
হেডকোয়ার্টারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছিল তার, বিশেষ একটা কাজে
একবার হেভকোয়ার্টার ঢাকারও এসেছিল সে। তেল আবিধে জিওনিস্ট
ইন্টেলিজেদদের হাতে ধরা পড়ে সে-ই প্রথম । ইস্টারোগেশনের সয় তার
ওপর টক্দার করা হয়, ভাতেই মারা যায় সে, মান্সা মাবার আগে এজেন্টদের
নাম ঠিকানা সব সে বলে যায়। ওদের পাচজনকে ধরত্রে মাত্র আধ ঘণ্টা সয়
লাখে ইসরায়েলিদের। বাকি তিনজ্ঞন ধরা দেয়নি, বাধা দিয়ে মৃত্াকেই বেছে
নিয়েছে।
এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়। 7
হচ্ছে কেন, সেটা ওব বোধপমা হচ্ছে না। আজ হয়তো ব্যাপারটা ফয়সালা
আপে? প্রতিশোধ, লাকি আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনলাঃ
ন্টার সম পারভিলকে ডেকে চা দিতে বলল সোহেল। কিন্তু চা এলে
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।