Masud Rana - Cocaine Somrat

কোকেন সম্রাট – মাসুদ রানা – কাজী আনোয়ার হোসেন (Cocaine Samrat – Masud Rana By Kazi Anwar Hossain)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

এক

২৮ এপ্রিল, ১৯৪৫ খিস্টাব্দ।

“বালিন আর আমি একসাথে মরবো, কথাটা এমন সুরে বলা হলো যেন বার্লিন কোনো শহর নয়, জ্যান্ত কিছু ।

হেনেরিক মুলার কোনো জবাব দিলেন না, কারণ এই একই রহস্যময় উক্তি গত এক মিনিটে তিনবার উচ্চারণ করলেন ফুয়েরার | আড-লফ হিটলার নিজের মধ্যে নেই, নাকি অবশেষে নিজেকে তিনি চিনতে পেরেছেন, কোনটা যে ঠিক বুঝতে পারলেন না৷ মুলার। জার্মান জাতির মহাশক্তিধর নেতার মাথার চুল এখন সাদা হয়ে গেছে, একটা হাত অকেজো, আর বাম পা-টা গুলি খাওয়া পশুর মতো তার পিছনে ঝুলে থাকে । তার নীলচে-খয়েরি চোখ ছুটে! এখন পুরোপুরি একজন বদ্ধ উদ্মাদের।

শিরায় টান পড়ায় বা যে-কোনো কারণেই হোক, ভালো হাতটা মৃহ ঝাকি খেতে শুরু করলো, তাড়াতাড়ি সেটা মুঠো পাকিয়ে ডেস্কের মাথায় চেপে ধরলেন ফুয়েরার | কয়েকটা ইঞ্জেকশন নেয়ার পর সমস্ত শারীরিক বৈশিষ্ট্য আর মর্যাদা হারিয়ে স্রেফ মাংসের স্তুপে পরিনত হয়েছেন চীফ | ইঞ্জেকশন দিয়ে ডাক্তার বিদায় নেয়ার পর দেখা গেল একজন মাদকাসক্তকে সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যে প্রতিক্রিয়া হয় তারও ঠিক হুবহু সেই অবস্থা হয়েছে । পীড়ন আর শাসন করার উদগ্র কামনা নিস্তেজ হয়ে গেছে, অবশিষ্ট ইচ্ছাশক্তি এখন শুধু মৃত্যুকে ডেকে আনতে চায়। প্রথমে অন্যদের, সবশেষে নিজের | এ-ব্যাপারে ঘড়ির কাটা ধরে ভূমিকা পালন করছে রাশিয়ান আর্মি, প্রকৃতির অমোঘ বিধানের মতো। পতন ঘটতে যাচ্ছে বার্লিনের।

“তার আগে আমরা বেঈমানদের শায়েস্তা করবো, বললেন তিনি, ক্ষমা না করার প্রবণতা এখনো তার মধ্যে পুরোমাত্রায় সক্রিয়। শুরুতে যারা বেঈমানী করেছে, আর এখন শেষ মুহূর্তে যারা করছে, দু’দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই |”

“ইয়েস, চীফ,” বললেন মুলার, বাংকারে তার সব স্টাফই তাকে চীফ বলে সম্বোধন করে ।

“ফেগেলাইনের মেয়েমানুষটা’, কণ্ঠে অস্বস্তি নিয়ে প্রশ্ন করলেন ফুয়েরার, “-…সে কি…সুন্দর ?”

“দারুণ। একেবারে উল্টোকথা বলার আগে এক সেকেন্ড বিরতি নিলেন মুলার | “তবে দুশ্চরিত্রা । সন্দেহ নেই, সে-ই ফেগেলাইনকে সর্বনাশা পথে পা বাড়াতে প্ররোচিত করে।

তোমার কাছে প্রমাণ আছে, সত্যি সে পালাবার চেষ্টা করেছিল?

আছে, চীফ। তার লাগেজ থেকে অনেকগুলো প্রমাণ উদ্ধার করেছে বোরম্যানের লোকজন । সোনা, অলংকার, মোটা অংকের সুইস কারেন্সি। জেরার মুখে সব কথা স্বীকারও করেছে জেনারেল ফেগেলাইন। তার অপরাধ সম্পর্কে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই ।

ঝুলন্ত পা-টা পিছনের দিকে ঠেলে দিলেন হিটলার, যেন রায় ঘোষণার সময় তার শারীরিক ক্রটি দৃষ্টিগোচর হওয়া চলবে না। অবশ্যই তিনি বিবেকের তাড়নায় পীড়িত। ফুয়েরার-বাংকারে এস এস-এর প্রতিনিধিত্ব করছে জেনারেল ফেগেলাইন, তার সৈন্যরা শুধু যে আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বার্লিনের ওপর শত্রুপক্ষের চাপ কমাতেও
সফল হয়নি । তবে জেনারেল ফেগেলাইন গ্রেটল-এর স্বামীও বটেন।
ইভা ব্রাউন, বহু বছর ধরে হিটলারের রক্ষিতা, তারই ছোটো বোন গ্রেটল। রাজনীতি, না রক্ত ? কোনটা বেশি শক্তিশালী ?

“ইভা এখন আমার কাছে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রিয়” বললেন হিটলার | “কথাট! তুমি বিশ্বাস করো।, মুলার ?’

আমি জানি, চীফ ।?

পায়ের কাছে বসে থাকা আলনেশিয়ান কুকুরীটার দিকে তাকালেন হিটলার । “দুনিয়া কোনোদিন জানবে না জার্মান জাতির জন্যে যা অবদান রয়েছে আমাদের, তার কতটুকু সম্ভব হয়েছে শুধু এই মেয়েটির জন্যে ।

তবে মুলার জানেন। তিনিই সম্ভবত ফুয়েরারের যৌন রুচি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জানেন । বেশিরুভাগ সময় যৌনাবেগের কোনো অস্তিত্বই থাকে না, তারপর হঠাৎ ভয়ংকর রুদ্র মুর্তি নিয়ে মাথাচাড়া দেয়। ফ্রাউলিন ইভা, সাবেক জিমন্যাস্টিক ইনস্ট্রাক্টর গোটা জার্মানিতে সম্ভবত সে-ই একমাত্র মেয়েমানুষ যার কাছে ফুয়েরারের অনিয়মিত ও
চরম যৌন বিকৃতি সামাল দেয়ার মতো শারীরিক উপকরণ আছে।

আপনার জন্যে বাপারটা বোধহয় কঠিন, স্যার । আপনি যদি বলেন তো আমি ম্যানেজ করতে পারি”…।’

না” বললেন হিটলার, এক মুহুর্তের জন্যে কর্ত্বতের সুর ফিরে পেলেন তিনি, যে কতৃত্বের সুর গোটা একটা জাতিকে গৌরবের স্বর্ণশিখরে পৌছে দিয়েছিল, তারপর সেখান থেকে নিক্ষেপ করতে যাচ্ছে বিস্মৃতির অতল গহবরে। “উত্তরটা পরিষ্কার । জেনারেল ফেগেলাইন বার্লিনে মারা যাবে । আমরা সবাই মারা যাবো এখানে ।

খানিক পর হিটলারের সিটিংরুম থেকে বেরিয়ে এসে স্টাডিরুমে ঢুকলেন মুলার, ফুয়েরারের সেক্রেটারি বোরম্যানের সাথে কথা বলবেন । বিশালদেহী হলেও, বোরম্যানের চেহারায় আভিজাত্য বা কর্তৃত্বের কোনো ভাব নেই, আছে বুনো একটা ভাব, রাইখসলাইটার-এর ইউনিফর্মও সেটা ঢাকতে পারেনি । নির্মম খুনির হাতের মতো শার্টের কলার তার মোটা গলাটা খামচে ধরে আছে, চর্বিবহুল বেটপ ভুড়ি রীতিমতো কুৎসিত । বেশিরভাগ লোক তাকে চাষা বলে ডাকে, যদিও সেটা তাদের উদারতাই বলতে হয়। মার্টিন বোরম্যানকে দেখে মনে হয় আদিম যুগের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি, বাস করেন গুহায় ।

তবে বোরম্যানকে ছোটে করে দেখার মতে ভুল মুলারের কখনো হয়নি । রাইখসলাইটার বোরম্যান একটা জিনিস খুব ভালে বোঝেন কিভাবে তার প্রভুকে খুশি রাখতে হবে । তিনি আরো বোঝেন, বাকি সব তুচ্ছ। বছরের পর বছর ধরে বোরম্যানের প্রতি মুহুর্তের প্রতিটি চিন্তার বিষয়বস্ত একটাই, কিভাবে ফুয়েরারের চাহিদা পুরণ করা যায়। প্রভুর সেবা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন তিনি, এটা বুঝতে পারার পর থেকে তার চেহারায় নির্ভেজাল উদ্বেগ ফুটে আছে। রাইথসলাইটার বড় বেশি মদ খাচ্ছেন আজকাল । হিটলার পছন্দ না করলেও, প্রায় সারাক্ষণই তার হাতে জ্বলছে সিগারেট |

পায়ের শব্দ পেলেও, ডেস্কে মেলা ম্যাপটা থেকে দেরি করে মুখ তুললেন বোরম্যান, ভূড়ির আড়ালে সেটা প্রায় ঢাকা পড়ে আছে ।
“কি ব্যাপার ? জানতে চাইলেন তিনি ।

ফুয়েরার নির্দেশ দিয়েছেন বেঈমানদের বিরুদ্ধে এখুনি ব্যবস্থা নিতে হবে, কারো প্রতি দয়া দেখানো চলবে না, আবেগশুন্য, বেসুরো গলায় বললেন মুলার । “পালিয়ে যাবার ষড়যন্ত্র করায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে জেনারেল ফেগেলাইন | এসকট বাহিনী গ্রেফতার করে বাগানে নিয়ে যাবে, ওখানে গুলি করা হবে তাকে ।

চমৎকার, বড় বড় দাত বের করে হাসলেন বোরম্যান, চওড়া মাড়ির মাথায় এলোমেলোভাবে সাজানো ওগুলো । ‘আমার ভয় হচ্ছিলো, স্বজনপ্রীতির কারণে সুবিচার বিঘ্নিত হতে পারে । ভালোই হলো, এখনে যাদের মনে দ্বিধা বা সংশয় আছে তাদের জন্যে কঠিন একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে ব্যাপারটা |”

মাথা নেড়ে মুলার বোঝাতে চাইলেন বোরম্যানের সাথে তিনি একমত, যদিও ফেগেলাইনের বিয়ের অনুষ্ঠানে ফিরে গেছে তার মন । আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বোরম্যানও ছিলেন | মদ্যপ, সুদর্শন, তরুণ এসএস জেনারেলকে “প্রিয় রন্ধু” বলে প্রথমবার সম্বোধন করেছিলেন তিনি। পরবতী বছরগুলোয় একই বোতল থেকে মদ খেয়েছেন তারা,
বিশেষ করে মাটির নিচে আশ্রয় নেয়ার পর থেকে গত কয়েক হপ্তায় তাদের ঘনিষ্ঠতা আগের চেয়ে আরো বরং বেড়েছে । একমাত্র বন্ধুর মৃত্যুদণ্ডকে চমৎকার বলে আখ্যায়িত করতে পারেন বোরম্যান, এ থেকেই তার সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

‘ফুয়েরারের নামে আমি একটা নির্দেশ জারি করেছি, বললেন তিনি। পদমর্যাদার গর্ব তার চেহারা ও সুরে কখনোই অনুপস্থিত থাকে না। আর্মির প্রতিটি ইউনিট আত্মসমর্পণের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করবে । কেউ যদি শক্রর হাতে ধরা দেয় কোর্ট মার্শাল ছাড়াই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। এই আইন-বলে বার্লিনে আমরা মিরাকল ঘটাবো ৷

একজন নির্বোধ ফ্যানাটিকের মতো কথা বলছে, তবু তার কথায় সায় দিতেন মুলার, যদি না ঠিক সেই মুহুর্তে কামানের গোলাটা সরাসরি মন্ত্রণালয়ে আঘাত করতো । ভোতা একট শব্দ হলো, অনেকটা মট করে হাড় ভাঙার মতো। পরবর্তী ধাক্কাটা হলো দীর্ঘস্থায়ী, নাড়া দিয়ে গেল গোটা বার্লিনকে, থরথর করে কেঁপে উঠলো আট ফুট চওড়া কংক্রিটের দেয়ালগুলো, নিস্তেজ হয়ে গেল বাংকারের সবগুলো আলো ।

রাশিয়ান আর্মির খোচা খেয়ে তাড়াতাড়ি আবার মুখ খুললেন বোরম্যান, এই মুহুর্তে সম্পূর্ণ বাস্তববাদী তিনি। “বিষয়টা নিয়ে তার সাথে তুমি কথা বলেছে? তিনি কি যাবেন?

“শহর ত্যাগ করার কোনে প্রস্তাব শুনতে পর্যন্ত রাজি নন ফুয়েরার”’ বললেন মুলার । “বার্লিনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যদি ব্যর্থ হয়, বলছেন তিনি আত্মহত্যা করবেন ।

চর্বি থলথলে মোটা গলা নিয়ে ষাড়ের মতো মাথা ঝাকালেন বোরম্যান। “কাল রাতে ব্যাপারটা নিয়ে ওরা আলোচনা করেছেন, বললেন তিনি। “টেবিলের চারধারে বসে কে কিভাবে নিজের জীবন দেবেন তারই বর্ণনা শুরু হলো ।সবশেষে ফুয়েরার একটা ডকুমেন্ট দিলেন আমাকে–তার টেস্টামেন্ট-উনি মারা যাবার পর দুনিয়ার
লোককে জানাতে হবে ।’

এর অর্থ দু’জনেরই জানা আছে। উত্তরে রয়েছেন হিমলার, তার কোনো উপায় নেই উত্তরাধিকার দাবি করেন; দক্ষিণে গ্রেফতার হবার পর অপদস্থ হচ্ছেন গোয়েরিং, কাজেই বুদ্ধিহীন বিশিষ্ট ব্যক্তি মার্টিন বোরম্যান হতে যাচ্ছেন একদিনের বাদশা । কথাটা ভাবতেই আতংক বোধ করলেন মুলার ।

তবে, বোরম্যাঁনের বাদশাহী টিকবে না । গত এক দশকে বহুবারই অসম্ভবকে মেনে নিয়েছেন মুলার । এটা ধরে নেয়া যুক্তিসঙ্গত ছিলো না যে মাত্র কয়েক হপ্তায় গোটা ইউরোপ দখল করা সম্ভব, বা জার্মানীর মাটি থেকে সব ক’জন ইহুদিকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে; অথচ কাজ-গুলো বাস্তবায়িত করা গেছে । “রাইখসলাইটার, আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমাদের অন্য পরিকল্পনা করা দরকার ।

“বলো, সাড়া দিলেন ফোরম্যান |

“আমি তোমাকে বলতে চাই, যেমন ফুয়েরারকেও বলেছি, নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছু একটা করার এখনই সময় ।”

হাত দুটো! পিছনে নিয়ে গিয়ে ভাজ করলেন বোরম্যান। “সম্ভব নয়” বললেন তিনি । “দায়িত্ব পালন করতে হলে পালাবার কথা ভুলে থাকতে হবে আমাকে । আমি এখানে, আমার নেতার পাশে থাকবো।

“অবশ্যই, অহেতুক জোর দিয়ে বললেন মুলার | “যতোক্ষণ তোমাকে তার দরকার ।

নিঃশব্দে দৃষ্টি বিনিময় হলো, ছ’জনেই পরম্পরকে পুরোপুরি বুঝতে পারলেন। ডেস্ক থেকে ম্যাপটা তুলে নিয়ে ভাজ করলেন বোরম্যান, মন্ত্রণালয়ের এমন একটা কামরা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ওটা যেখানে খুব কম লোকেরই প্রবেশাধিকার আছে। ম্যাপটা তাজ করার সময় তার চেহারায় চাপা উত্তেজনা ফুটে উঠলো। “চলো, তোমাকে পৌছে
দিয়ে আসি, হেনেরিক । আমি জানি, তোমার হাতে এই মুহুর্তে অনেক কাজ, কিন্তু সময় খুব কম।”

কনুইয়ের কাছে বোরম্যানকে নিয়ে ছোট কনফারেন্স রুমটা পেরিয়ে এলেন মুলার, আক্ষরিক অর্থেই বোরম্যান তার কনুইয়ের সাথে সেঁটে থাকলেন। করিডর হয়ে পেঁচানে সিড়ি বেয়ে বাংকারের ওপরতলায় উঠে এলেন ওরা । করিডরের মাঝখানটায় বোরম্যানের অফিস- বড় দুটো খুপরি, তার আর স্টাফদের জন্যে । বোরম্যানের শক্তি আর স্থুলতা সম্পর্কে জানেন ফুয়েরার, তার নির্দেশ যাতে প্রতিপালিত হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্যে সেক্রেটারির এই গুণ দুটো তিনি ব্যবহার করেন, সেই সাথে তাকে গভীর নিভৃত ছায়ায় রাখারও ব্যবস্থা করেছেন।

খুব বেশি কিছু কখনোই চাননি বা আশা করেননি রাইখসলাইটার । যা তিনি পেয়েছেন তাতেই তৃপ্ত বোধ করেছেন-ক্ষমতা। নাৎসী পার্টিকে নিয়ন্ত্রণ করেন বোরম্যান, পৃষ্ঠপোষকদের তালিকা আর তহবিল তার হাতের মুঠোয়, সেই সাথে ফুয়েরারের ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যাপারগুলো দেখাশোনা করেন ।

অফিসে ঢোকার পর মেয়ে সেক্রেটারিদের অশ্লীল গালাগাল দিয়ে ভাঁগিয়ে দিলেন বোরম্যান। ফ্রাউলিন ক্রুগারের নিতম্বে কষে একট চাপড় মারলেন, ছুটে পালাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো বেচারি। অধস্তনদের সাথে এধরনের অশোভন আচরণ করতে অভ্যস্ত তিনি; কালরাতে যদি ওদের কারো সাথে রাতও কাটিয়ে থাকেন বোরম্যান, সেও তার এই অশ্লীল অমর্যাদাকর পীড়ন থেকে রেহাই পাবে বলে আশা করতে পারে না। বোরম্যান তার সব ক’জন সেক্রেটারির সাথে রাত কাটান, তারপরও তার শোবার ঘরে ডাক পড়ে অভিনেত্রী আর বেশ্যাদের । বলা হয়, তার রাক্ষুসে যৌনক্ষুধা মিটবার নয়। এ-সবই জানা আছে মুলারের । স্থান-কাল-পাত্রী, সবই তিনি জানেন- জানাটাই তার কাজ।

সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top