একটু চোখ বুলিয়ে নিন
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশা ও অস্ট্রেলিয়ার মত কয়েকটি দেশ মিলে ভাগ করে নিয়েছে ওই বিরান-বিশাল শীতল-ধবল প্রান্তর । বছরের এক তৃতীয়াংশ সময়ে হয়ে ওঠে আকারে দ্বিগুণ। দিনের পর দিন বয় ওখানে তুমুল তুষার-ঝড়। তাপমাত্রা শূন্যের অনেক নীচে । বরফমোড়া কোনও সাধারণ দেশ নয় ওটি, বরং প্রকাণ্ড একটি জীবিত, জাগ্রত মহাদেশ। এবং সেখানেই শুরু হতে চলেছে মহা জটিল এক নাটকের প্রথম অংক।
উইলকক্স আইস স্টেশন, অ্যাণ্টার্কটিকা ।
১৩ই জুলাই ।
তিনঘন্টা হলো স্টেশনের সঙ্গে রেডিয়ো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দুই ডুবুরির |
গভীরে নামবার সময় ডাইভিং ছিল নিখুত । নেমেছে তারাম অনেক নীচে । স্টেশনের দুই সেরা ডুবুরি স্টোন ও আডাম্স্
মাঝে মাঝেই আলাপ করেছে ইন্টারকমে |
আধাআধি নামবার পর রিপ্রেশারাইয করেছে, এরপর পুরো তিন হাজার ফুট নীচে গিয়ে থেমেছে। বেরিয়ে এসেছে ডাইভিং বেল থেকে, একপাশে সরু এক বরফের টানেল ধরে আবারও উঠে গেছে বিশাল এক গুহার দিকে ।
পানির তাপমাত্রা ছিল এক দশমিক নয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দু’বছর আগেও অ্যান্টার্কটিকায় ডাইভিং ছিল প্রায় অসম্ভব, দশ মিনিট পানিতে থাকলে হাইপোথারমিয়ায় মরতে হতো । কিন্তু এখন নেভির জন্য তৈরি থার্মাল-ইলেকট্রিক সুটের কারণে প্রায় জমে যাওয়া পানিতে তিন ঘণ্টারও বেশি ডুবে থাকা যায় ।
গভীর পানির ভিতর সরু, খাঁড়া বরফের সুড়ঙ্গ দিয়ে উঠবার সময় রেডিয়োতে আলাপ করেছে ডুবুরিরা । বরফের দেয়ালের ফাটল ও রুক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করেছে। তাদের কাছে স্বর্গীয় মনে হয়েছে চারপাশের বরফের দেয়াল, যেন গভীর সুনীল আকাশ।
তারপর হঠাৎ করেই থেমে গেছে সব কথা । উপরে দেখতে পেয়েছে স্থির পানি। ওখানে শুধু কালো কাচের মত নিথর, গাঢ় অন্ধকার । সাধারণত এত শান্ত হয় না পানি। চারপাশে আলো ফেলেছে ওদের মিলিটারি-স্পেক হ্যালোজেন ফ্লাশলাইট । স্কটিকের মত জ্বলজ্বল করেছে নীলচে বরফ । এরপর উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে ভুবুরিরা |
‘আর ঠিক তখনই শুনতে পেয়েছে আওয়াজটা |
থেমে গেছে দুই ডুবুরি।
স্বচ্ছ ও বরফ-ঠাপ্তা পানির ভিতর প্রথমে ওটা ছিল একটি মাত্র হুইসল। ওরা ভেবেছে, গান গাইছে কোনও তিমি । |
খুব সম্ভব ওটা কিলার ওয়েইল। কয়েক দিন হলো স্টেশনের ভিতর দেখা দিয়েছে একজোড়া তরুণ কিলার ওয়েইল। খুবই ছোট ঝাঁক, বারবার উইলকক্স আইস স্টেশনের ভিতরের পুলে দম নিতে উঠছে ওগুলো ।
অবশ্য, কিলার ওয়েইল না-ও হতে পারে, হয়তো ওই শিসের মালিক কোন নীল তিমি। সঙ্গী যোগাড় করবার জন্য গান গাইছে পাঁচ কি ছয় মাইল দূরে । তিমির গান নিয়ে এই এক বড় সমস্যা । পানি এত ভাল কন্ডাক্টর, কেউ বোঝে না তিমি এক মাইল দূরে, না দশ মাইল।
কয়েক সেকেন্ড স্থির থেকে আবারও উপরে উঠতে শুরু করল দুই ডুবুরি ।
আর ঠিক তখনই প্রথম শিসের জবাব দেয়া হলো ।
এরপর বেজে উঠল আরও কমপক্ষে এক ডজন শিস। দুই ডুবুরিকে ঘিরে চলেছে আওয়াজ । প্রথম শিসের চেয়ে অনেক কাছে পরের শিসগুলো । |
গাঢ় নীল পানির ভিতর চরকির মত ঘুরে চারপাশে চোখ বুলালো দুই ডুবুরি।
কোথা থেকে আসছে এসব আওয়াজ?
কাধ থেকে হারপুন গান নামিয়ে নিয়েছে ডুবুরিদের একজন, দেরি হয়নি হ্যামার কক করতে। হঠাৎ থেমে গেছে তীক্ষ শিস, শুরু হয়েছে বেশ কিছু করুণ আর্তচিৎকার ও কুকুরের মত ঘেউ-ঘেউ গর্জন।
তারপর হঠাৎ করেই জোরালো ধুপ-ধড়াস্ আওয়াজ হয়েছে। ঝট করে উপরে চেয়েছে দুই ডুবুরি। চারপাশ ছিল
আয়নার মত পরিক্ষার, কোথাও কোনও কম্পন ছিল না, কিন্ত সেই নিথর পানি এখন বিক্ষোরিত হয়েছে হাজার টুকরোয়-উপর থেকে নেমে আসছে বিশাল কিছু!
জোর ছলাৎ আওয়াজ তুলে সারফেসে ভেসে উঠল প্রকাণ্ড ডাইভিং বেল। গোলাকার পুলের ধারে পায়চারি করছে জন প্রাইস, ধমকের সুরে নির্দেশ দিয়ে চলেছে। সুঠাম দেহে পরনে তাঁর কালো ইনসুলেটেড় ওয়েট সুট। প্রাইস মেরিন বায়োলজিস্ট, পাশ করেছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে । এই উইলকক্স আইস স্টেশনের কর্ণধার সে।
সি-ডেকে উইঞ্চ কন্ট্রোল নিয়ে কাজ করছে তরুণ এক টেকনিশিয়ান, তাকে বলল সে, “ঠিক আছে, ওখানেই রাখো!
ওকে, লেডিজ এন্ড জেন্টলমেন, হাতে সময় নেই । সবাই উঠে পড়ুন।
পুলের ধারে হাজির হয়েছে ছ’জন ওয়েট সুট পরা ভাইভার, একে একে বরফ-ঠাণ্ডা পানিতে ঝাপিয়ে পড়ল তারা। এক মিনিট পেরুনোর আগেই উঠে পড়ল ডাইভিং বেলে । পুলের মাঝে জিনিসটা গম্মুজ আকৃতির, অর্ধেক অংশ পানির নীচে ।
বিশাল পুলের ধারে, পানির কাছে এসে দীড়িয়েছে প্রাইস। এই গোল পুল ঘিরে তৈরি হয়েছে উইলকক্স আইস স্টেশন ।
কঠিন বরফ খুঁড়ে তৈরি সিলিন্ডারের মত পাঁচ তলা গভীর ফ্যাসিলিটি, বহু দূরের উপকূলীয় রিসার্চ স্টেশন হিসাবে কাজ করছে। প্রকান্ড ব্যরেলের মত ফাঁকা জায়গার চারপাশে সরু ক্যাটওয়াক ও মই, সবই মিশেছে একেকটা করে দরজায়-ওপাশে বরফের তৈরি দালান। আগে আসা বহু মানুষের মতই উইলকক্স আইস স্টেশনের বাসিন্দারা ভাল করেই জানে, পোলার ওয়েদারে বেঁচে থাকতে হলে বরফের প্রান্তরের নীচে বাস করতে হবে।
‘দুই কাধে স্কুবা গিয়ার ঝুলিয়ে নিল জন প্রাইস, শতবারের মত হিসাব কষতে শুরু করেছে।
ডাইভারদের সঙ্গে তিনঘণ্টার বেশি রেডিও লিঙ্ক বিচ্ছিন্ন। একঘন্টা বরফের সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে উপরের দিকে উঠেছে স্টোন ও আডাম্স্। তার আগে, একঘন্টা ধরে ডাইভিং বেল চেপে নীচে নেমেছে ।
নামবার সময় “ফ্রি’ এয়ার পেয়েছে ওরা । উপর থেকে ডাইভিং বেলের ভিতর তাজা বাতাসের ব্যবস্থা ছিল৷ কিন্তু বেল
থেকে বেরিয়ে আসবার পর থেকেই স্কুবা ট্যাঙ্কের অক্সিজেন ব্যবহার করেছে । ওই প্রথম মুহূর্ত থেকে প্রতিটি সেকেন্ড হিসাব করতে হবে।
তার মানে, চারঘন্টা হলো ওরা স্কুবা ট্যাঙ্কের অক্সিজেন ব্যবহার করেছে…
কিন্ত সমস্যা: ওদের স্কুবা ট্যাঙ্কে আছে মাত্র তিনঘণ্টা চলবার বাতাস!
এ থেকে অনেক কিছুই আচ করে নেয়া যায়।
‘দুই ডুবুরির কাছ থেকে শেষ যে কথা ওরা শুনেছে, তার পর থেকে পাওয়া গেছে শুধু স্ট্যাটিকের আওয়াজ । সেই সঙ্গে অদ্ভুত কিছু শিসের শব্দ । ওই শিস তৈরি করতে পারে নীল, মিষ্কস বা অন্য কোনও নিরীহ তিমি । অথবা, আধ মাইল বরফ ও পানির কারণে তৈরি রেডিয়ো ইন্টারফেয়ারেন্স। প্রাইস আন্দাজ করছে, রেডিও যোগাযোগে ছেদ পড়তেই ফিরতি পথ ধরেছে স্টোন ও আ্যাডাম্স্, রওনা হয়েছে, ডাইভিং বেলের দিকে” তখন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেল টেনে তুললে সুড়ঙ্গের ভিতর আটকা পড়ত দুই ডুবুরি । তাদের কাছে যথেষ্ট অক্সিজেনও ছিল না ।
কিন্তু, সত্যি যদি দুই ডুবুরি বিপদে পড়ে- কিলার ওয়েইল বা লেপার্ড সিল হামলা করে– প্রাইসের প্রথম কাজ হওয়া
উচিত ছিল ডাইভিং বেল তুলে একদল ডাইভারকে পাঠানো ।
শেষে প্রাইস ঠিক করেছে, ডাইভিং বেল টেনে তুলে ওটাতে করে আবারও কাউকে নীচে নামানোর সময় নেই। স্টোন ও আডাম্স্ যদি বেঁচে থাকে, হয়তো ওটাতে নিরাপদে উঠতে পারবে ওরা । এখন উচিত নীচেই রেখে দেয়া ডাইভিং বেল।
কিন্তু সেটা তিন ঘন্টা আগের কথা । এই সময়টা ডুবুরিদের দিয়েছে প্রাইস। এরপর একঘন্টা ধরে টেনে তুলেছে ডাইভিং বেল। আর এখন নতুন করে নামবার জন্য তৈরি হয়ে গেছে
দ্বিতীয় দলটি ।
‘শুনুন।’
ঘুরে চাইল জন প্রাইস। ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্টেশনের প্যালিয়োন্টোলজিস্ট, নিনা ভিসসার। মহিলাকে পছন্দ করে প্রাইস। নিনা ভিসার বুদ্ধিমতী ও প্র্যাকটিক্যাল; প্রয়োজনে কঠোর হতে জানে, হাত নোংরা হবে ভেবে কাজ ফেলে রাখে না। মহিলার বারো বছরের’ একটা মেয়েও আছে জেনে খুব অবাক হয়নি প্রাইস। গত এক সপ্তাহ হলো এই স্টেশনে বেড়াতে এসেছে কিশোরী মেরি ভিসার |
“কিছু বলবে? জানতে চাইল প্রাইস।
“ঝড়ে ভেঙে পড়েছে উপরের অ্যান্টেনা, সিগনাল পাঠানো যাচ্ছে না, বলল নিনা ভিসার । ‘আরও সমস্যা আছে, খুব কাছে চলে এসেছে একটা সোলার ফ্রেয়ার।
“মুশকিল ।’
আমি রাফায়লাকে প্রতিটা মিলিটারি ফ্রিকোয়েন্সি স্ক্যান করতে বলেছি, কিন্তু আপনাকে আশাব্যঞ্জক কিছু শোনাতে
পারছি না।’
বাইরের অবস্থা কী?
খুবই খারাপ । সাগর-তীরের ক্লিফের উপর আছড়ে পড়ছে আশি ফুটি টেউ। সমতলের বরফ ছুঁয়ে বইছে এক শ’ নট গতিবেগের ঝড়। কেউ যদি আহত হয়, তাকে বাইরে নিয়ে যেতে পারব না আমরা ।’
ডাইভিং বেলের দিকে ঘুরে চাইল প্রাইস । ‘আর রাশেদ হাবিব?
“তাকে তার ঘরে আটকে রাখা হয়েছে, নার্ভাস চোখে বি- ডেকের দিকে চাইল নিনা ভিসার
‘আর দেরি করতে পারছি না, বলল প্রাইস । “এবার যেতে হয়।
তাঁর দিকে চাইল নিনা ভিসার। ‘জন…’
“ভুলেও অনুরোধ করতে যেয়ো না, নিনা, মহিলার পাশ থেকে রওনা হয়ে গেল প্রাইস, চলেছে ডাইভিং বেলের দিকে ।
পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়বার আগে বলল, ‘আমি চাই তুমি উপরেই থাকো । তোমার মেয়ের তোমাকে দরকার পড়তে পারে । চেষ্টা করো সিগনাল পাঠাতে। আমরা স্টোন আর অ্যাডামসকে নিয়েই ফিরব ।’
“আমরা তিন হাজার ফুট গভীরতায় পৌছে গেছি, দেয়ালের আটকে রাখা স্পিকারে কড়-কড় করে উঠল জন প্রাইসের কর্কশ কণ্ঠ। ।
উইলকক্স আইস স্টেশনের অন্ধকার রেডিও রুমে বসে আছে নিনা ভিসার। রজার দ্যাট, জন, সাম্নের মাইক্রোফোনে বলল সে।
‘বাইরে কোনও নড়াচড়া নেই, কন্ট্রোল। কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা দেখছি না। ঠিক আছে,. লেডিজ এন্ড জেন্টলমেন, আমরা উইঞ্চ বন্ধ করছি। এবার ডাইভিং বেল থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিন ।’
সাগরের এক কিলোমিটার নীচে একটা ঝাঁকি খেয়ে থামল ডাইভিং বেল। ওটার পেটের ভিতর ইন্টারকম ব্যবহার করল জন প্রাইস: “কন্ট্রোল, প্লিজ ২১৩২ আওয়ার্স কনফার্ম করো ।
ডগলাস মওসন বেলের বদ্ধ পরিবেশে পরস্পরের দিকে চাইল সাত ডূবুরি, ধুকপুক করছে সবার বুক।
স্পিকারে ভেসে এল নিনা ভিসারের কণ্ঠ: “আই কপি, ডাইভিং বেল। সময় কনফার্ম করা হলো, এখন রাত নয়টা
বত্রিশ মিনিট ।’
“কক্ট্রোল, মার্ক করতে হবে আমরা ২১৩২ আওয়ার্সে নিজেদের অক্সিজেন ব্যবহার করতে শুরু করছি।’
“মাকড ।
দেয়ালের হুক থেকে ভারী ফেস মাস্ক নিল সাত ডুবুরি, এক মিনিট পেরোনোর আগেই সুটের কলারবোনের গোলাকার বাকলেসে আটকে নিল মুখোশ |
“কন্ট্রোল, আমরা এখন বেল থেকে বেরিয়ে পড়ছি ।’
সামনে বাড়ল জন প্রাইস, মুহূর্তের জন্য ডাইভিং বেলের অভ্যন্তরে পুলের কালো পানি দেখল, তারপর দুই কদম বেড়ে ঝপাস্ করে নেমে পড়ল গাঢ় অন্ধকারে |
মাইক্রোফোনে বলে উঠল নিনা ভিসার, “ডাইভার্স, ২২২০ আওয়ার্স, ডাইভ টাইম ফরটি-এইট মিনিট্স্ । রিপোর্ট ।’
রেডিয়ো রুমে নিনা ভিসারের পিছনে বসেছে রাফায়লা ম্যাকানটায়ার, সে স্টেশনের রেসিডেন্ট মিটিয়োরোলজিস্ট । গত দুই ঘন্টা ধরে স্যাটালাইট রেডিয়ো কন্সোলের সামনে বসে আছে, .কিন্তু বাইরে কোথাও একচুল ফ্রিকোয়েন্সি নেই।
খড়খড় আওয়াজ করে উঠল ইন্টারকম। এক সেকেন্ড পর যোগাযোগ করল জন প্রাইস: “কন্ট্রোল, আমরা এখনও বরফের সুড়ঙ্গ ধরে উপরের দিকে উঠছি। অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি।
‘রজার, ডাইভার্স, বলল নিনা। “আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন ।’
ওর পিছনে আবারও টক বাটন টিপল রাফায়লা | “কলিং অল ফ্রিকোয়েন্সি, দিস ইয ফোর-ওয়ান-এইট স্টেশন । আই রিপিট, দিস ইয ফোর-ওয়ান-এইট, রিকোয়েস্টিং ইমিডিয়েট আ্যাসিস্ট্যন্স। আমাদের এখানে দু’ জন আহত, সম্ভবত গুরুতরভাবে / আমাদের ইমিডিয়েট সাপোর্ট দরকার । দয়া করে………
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে চাইলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বইটি ডাউনলোড করে নিন।