Janani Debi by Samaresh Majumdar

জননী দেবী – সমরেশ মজুমদার (Janani Debi by Samaresh Majumdar)

একটু চোখ বুলিয়ে নিন

দিল্লি হয়ে বুন্বাবনে পৌছে নাকে রুমাল চাপস চিন্য়। এত ধুলে। যদি একসঙ্গে ওড়ে তাহলে অঞ্ধ হয়ে যেতে হবে। এমনিতেই ধুলোতে তার এলাঞ্রি আছে। তীর্থ করতে ধার! বাস.থেকে নেমেছিলেন তার! সেই ধুলো মাড়িয়ে ছুটে গেলেন বিভিন্ন মন্দির দর্শনে । চিন্ময় নাকে রুমাল চেপে একটু পরিষ্কার জায়গায় দড়িয়ে চারপাশে নজর বৌলাল।
বৃন্দাবনের যে অংশ নে দেখতে পাচ্ছে ত। মোটেই শ্রীমণ্ডিত নয়। বরং বেশ জীর্ণ ঘরবাঁড়ি, পুরোন ধুলোট, দোকানপাট যা এদব অঞ্চলে দেখতে . পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। দিল্লি থেকে আগ্রা যাওয়ার পথে চিন্ময় নেমেছে এখানে কারণ ট্যুর প্রোগ্রামে বৃন্দাবন ধরা আছে। যার! এসেছেন তারা তাজমহলের সঙ্গে পুণ্য লাভ করে নিতে চান। হাতে
ঘণ্টা দুয়েক সময় আছে। বৃন্দাবন নিয়ে চিম্ময়ের আগে কখনও কৌতৃহল ছিল না। এককালে বাঙালি পিনিমা-মাসিমারা সংনার ছেড়ে যে ছটো জায়গায় যেতেন তার একট! ঘি কাশী হয় অন্কটি হল এই বৃন্দাবন। বাংল! ‘মাহিত্যের বিধবা পিসির। শেষ কৰে এসেছেন এখানে মনে করতে পারল না চিন্ময়ণ। বৈষ্বদের পবিত্র তীর্থ বৃন্বাবনে দর্শনীয় স্থান নিশ্চয়ই অনেক আছে। কিন্তু এখানে নামার পর চিগ্ময়ের হাটাচ্পা করার আগ্রহ উবে গেঙ্গ। কণাক্টেড ট্যুরের এই মুক্ষিল, ইচ্ছে না হলেও থাকতে হবে কিছুট। সময়। চিন্ময় চারপাশে তাকাল। একটু ভত্র গোছের চায়ের দোকান পেলে খারাপ লাগত না। এই লমলপ একট! রিল্সা এনে ধাড়াল তার সামনে । রিক্সা! থেকে নেমে একটি কাঠখোট। “চেহারার তরুখ পরিষ্কার বাংলায় বলপ্, “বাবু, বৃন্দাবন দেখবেন না ? , প্ডুষি সবাঙালি ? এরকম জায়গার বাঙালি রিক্সাওয়ালাকে (বখতে
“গেয়ে ভান গাগল চিদ্ময়ের ।

লেখক সম্পর্কে

সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪৪। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা-বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র। কলকাতায় আসেন ১৯৬০-এ। শিক্ষা: স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স, পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ! লেখালেখি! প্রথমে গ্রুপ থিয়েটার করতেন। তারপর নাটক লিখতে গিয়ে গল্প লেখা। প্রথম
গল্প “দেশ’ পত্রিকায়, ১৯৬৭ সালে। প্রথম উপন্যাস “দৌড়”, ১৯৭৫-এ “দেশ’ পত্রিকায়। গ্রন্থ: দৌড়, এই আমি রেণু, উত্তরাধিকার, বন্দীনিবাস, বড় পাপ হে, উজান গঙ্গা, বাসভূমি, কালবেলা, কালপুরুষ এবং আর অনেক। সম্মান: ১৯৮২ সালের আনন্দ পুরস্কার তার যোগ্যতার স্বীকৃতি। এ ছাড়া “দৌড়’ চলচ্চিত্রের কাহিনীকার হিসাবে বি এফ জে এ, দিশারী এবং চলচ্চিত্র প্রসার সমিতির পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে ‘কালবেলা; উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top