একটু চোখ বুলিয়ে নিন
।।প্রথম ইতিহাস ।।
|| ময়মুন্ জন্ম ও খোজেস্তার প্রেমগ্রস্ত হওয়ার বিবরণ।।
পূর্ব কালের ধনবানেরদের মধ্যে আমদ্ সুলতান্ নামে একজন ছিলেন তাহার প্রচুর ধন ও এঁশ্বর্য্য এবং বিস্তর সৈন্যসামন্ত ছিল এক সহস্র অশ্ব পঞ্চশত হস্তী নবশত উন্ত্র ভারের সহিত তাহার দ্বারে হাজীর থাকিত কিন্তু তাহার সন্তান সন্তৃতি ছিল না এইকারণ তিনি দিবারাত্রি ও প্রাতে ও সন্ধ্যাতে ঈশ্বর পূজকেরদের নিকটেগমন করিয়া সেবার দ্বারা সন্তানের বর প্রার্থনা করিতেন। কতক দিবস পরে ভগবান্ সৃষ্টিকর্তা সূর্যের ন্যায় বদন চন্দ্রের ন্যায় কপাল অতি সুন্দর এক পুত্র তাহাকে দিলেন। আমদ্ সুলতান্ এ
সন্তান পাইয়া বড় প্রফুল্প চিত্ত পুষ্পবৎ বিকশিত হইয়া সেই নগরত্থ প্রধান লোক আর মন্ত্রী ও পণ্ডিত এবং শিক্ষাণ্তর আর ফকিরেরদিগকে আহান পুব্বক আনয়ন করিয়া বহুমূল্য খেলাৎ বস্ত্াদি দিলেন যখন সেই বালকের সপ্তম বৎসর বয়ঃক্রম হইল তখন আমদ্ সুলতান এক জন বিদ্বান লোকের স্থানে পড়িবার জন্যে সেই পুত্রকে সমপর্ণ করিলেন। কতক দিবসেতে সেই বালক আরবী ও পারস্ব শাস্ত্রের সমুদায় পুস্তক পড়িয়া সমাপ্ত উত্তম হইলেন] |
নামে সুন্দরী সূর্য্যমুখী চন্দ্রের ন্যায় শরীর এক কন্যার সহিত বিবাহ দিলেন।
লেখক সম্পর্কে
(অজানা _ ২৬ নভেম্বর ১৮০৮)
চন্ডীচরণ মুনশী সম্পর্কে সজনীকান্ত দাস কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন; তার বাইরে বিশেষ জানা যায় না। কিন্তু সেখানেও চন্ডীচরণ মুনশী”র জন্মসাল এবং তাঁর
বাসঙ্থান বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই। তাঁর পিতা- মাতা”র পরিচয়ও অজানা। তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে জানা যায় ইন্ডিয়া সরকারের দপ্তরে রক্ষিত Home Miscellaneous (Vol. 560, P. 554) থেকে । এখানে দেখা যায়, তীঁর মৃত্যু হয়েছিলো ১৮০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ।
১৮০১ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগ গঠিত হলে চন্তীচরণ ওই বসরেই এই কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৮০৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বরে কলেজের কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থাপিত বাংলা- সংস্কৃত- মারাঠা ভাষার শিক্ষক তালিকায় চণ্তীচরণ মুনশীকে মাসিক ৩০ টাকা বেতনভূক ‘0811080
179901161′ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ।
এই কলেজে চাকরি করার সময় উইলিয়াম কেরির উৎসাহে তিনি কাদির বখশ- এর ফার্সি আখ্যানগ্রন্থ ‘তুতিনামা’ বাংলায় অনুবাদ করেন এবং নাম দেন
তোতা ইতিহাস (১৮০৪)। গ্রন্থটি ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে মুদ্রিত হয়। পরে লন্ডন থেকে “তোতা ইতিহাস”- এর দু”টি সংস্করণ বের হয় ১৮১১
(পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৩৮) ও ১৮২৫ (পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৪০) সালে।