একটু চোখ বুলিয়ে নিন
হিথরো এয়ারপোর্ট ।
._ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের নিয়মিত কায়রো টু লম্তন ফ্লাইট । একটা সাতশো
সাইব্রিশ বোফিং, বিকেল হিক সাড়ে তিনটের সময় পাচ নম্বব রানওয়েতে ল্যান্ড
করল। সিঁড়ি লাগাবার পর পেটের কাছে দরজা খুলে যেতেই সেখানে ফুটল এক
তাজা গোলাপ ! একপাশে সরে দাড়িয়ে আরোহীদের বেরিয়ে আসার পথ করে দিল
সে।
বোয়িডের দরজা পেরিয়ে সবার আগে বেরিয়ে এলেন দশাসই এক পৃরুষ।
পরনে সাদা ঈজিপশিয়ান কটনের শ্রী-পীস স্যুট । চোখে সান-গ্লাস। শঙ্জারুর কাটার
মত গৌোফ, কাচা-পাকা স্্রেঞ্চকাট দাড়ি, প্রায় চৌকো আর সমতল প্রকাণ্ড মাথায়
কৌকড়া চুলের নিখুত ঢেউ! রিস্টওয়াচে একবার চোখ বুলিয়ে নিয় সিড়ি বেয়ে
নামতে শুরু করলেন তিনি।
জেনারেল আলি কারামের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যে তাদের কাউকে ব.বহার করা
হচ্ছে না। সদ্য ট্রেনিং পাওয়া এক দল তরুণকে কাজে লাগানো হয়েছে_এর আগে
এরা কখনও কোন এসপিওনাজ তৎপরতায় জড়ায়নি নিজেদের, ট্রেনিং শেষ করে
লন্ডনে এসে অবধি অপেক্ষায় ছিল। এদেরকে অনুসরণ করে শত্রুপক্ষের এজেন্টরা
চীফের পরিচয় জেনে ফেলবে, সে-ভয় নেই । এই মুহূর্তে কে কোথায় আছে তা
বোঝা না গেলেও, লন্ডনে মিশরীয় চীফ যেটুকু সময় আছেন, তাব নিরাপত্তার দায়িত্র
নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাবে এরা ।
বিপজ্জনক ঝুকি থাকে বলে কোন ইন্টেলিজেন্স চীফ সাধারণত গোপনে
বিদেশের মাটিতে পা দেন না। কিন্ত্ব আভরাম আযামবুনি দেখা করতে চাওয়ায়
একান্ত বাধ্য হয়েই লে. জেনারেল আলি কারামকে লন্ডনে আসতে হয়েছে। দেখা
করার সময় এবং জায়গা সম্পর্কে কোন রকম আলোচনার অবকাশ মেলেনি, কখন
আর কোথায় দেখা করতে হবে একটা মেসেজ পাঠিয়ে সেটাই ও জানিয়ো দিয়েছে
আযামবুসি । আর আ্যামবুস্বির এ ধরনের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে লে. জেনারেলের
কোন উপায় নেই । আভরাম আযামবুসি আসলে মিশরীয় সিক্রেট সার্ভিনের একজন
টপ এজেন্ট. পনেরো বছরের বেশি হতে চলল ইসরায়েলের শক্তিশালী স্পাই দংস্থা
জিওনিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইন্টারন্যাশনালের বড়সড়_ একটা পদ দখল করে আছে।
আযমবুসি যে ডাবল এজেন্ট, সেটা একা মিশরীয় চীফ ছাড়া আর কেউ জানে না,