একটু চোখ বুলিয়ে নিন
আত্মরক্ষার কোন সুযোগই দেয়া হলো না। কাপুরুষের মত খুন করুল ওরা বাবুল
আখতারকে।
তরুণ মেধাবী ছাত্র বাবুল আখতার পশ্চিম জার্মানীর বাভারিয়া প্রদেশের একটা
ইউনিভার্সিটিতে কমপিউটর সায়েন্দ নিয়ে পড়াশোনা করছিল। তার আরও একটা
পরিচয় ছিল, কিন্তু সেটা পুলিস জানতে পারল হত্যাকাণ্ড ঘটে যাবার পর।
বাবুল জানত যে-কোন মুহূর্তে চার ওপর হামল হতো পারে সেনের
সময় সতর্ক থাকত সে। কিন্ত দিন আবহাওয়া ছিল রোদ ঝলমলে, বিকেলটা
উর করা তা হি ভা রদ করে
। একেবারে ও সন্দেহজনক কিছুই তার নজরে ।
ভাড়া,করা একটা পাওয়ারবোট নিয়ে লিন্ভাউ হারবার থেকে রওনা হলো
বাবুল। লেক কনস্ট্যাঞ্জ-এর পানি নীল পারদের মত ঝিলমিল । বোটে বাবুল
বক হারবানের ফুবথেকে মোুবার সমর একদিকে পড়ল পাখুনে টাচ বাভারি়া
সিংহ, আরেক দিকে আকাশ ছোয়া লাইটহাউস। নিয়ম লঙ্ঘন না করে বাবুল তার
হুইসেল বাজাল।
ছাব্বিশ বছরের তরুণ, সুদর্শন এবং সুস্থাস্থ্যের অধিকারী । পরনে জার্মান স্যুট ।
তার াশেরসীটে একটা টাইবোলিয়ান হযাটাপড়ে রয়েছে মাধায় রয়েছেচুড়া
আকৃতির নটিক্যাল ক্যাপ, ছুটির আমেজ মাখা পরিবেশের সাথে
গেছে সেটা । তরী নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে বাবুল “গোপনে ভিড়কে গিয়ে
সুইটজারল্যান্ডের তীরে।
বিশাল লেকের চারদিকে কোথাও এমন কিছু লেই যা দেখে সন্দেহ হতে
পারে। বিকেলের সোনালি রোদে দূর দূরান্তে কয়েকটা ইয়ট দৈখা গেল, রঙচডে
পাল তুলে খেলনার মত ভেসে ঘাচ্ছে। আরও সামনে এবড়োখেবড়ো, বরফ ঢাকা
লিখটেনস্টেইন শূঙ্গ_-সুইটজারল্যান্ড। তার ডান দিকে অনেকগুলো সাদা স্টামারের
একটাকে দেখা গেল, লেকের পানিতে তুমুল আলোড়ন তুলে জার্মান শহর
কনস্টযাঞ্জের দিকে অদৃশা হয়ে যাচ্ছে
বা দিকে একদল উইনত-সার্ফার। পালে টানা বাতাস নিয়ে, তীব্র স্রোতে তর
করে ছুটোছুটি করছে ওদের বাহনগুলো । পাওয়ার বোটের বো-র দিকে চলে
আসছে ওরা । এক এক করে গুনল বাবুল। ওরা ছ’জন।
আসলে সাতজন।