একটু চোখ বুলিয়ে নিন
আমি রানা বলছি।
ইংল্যাড। বার্কশায়ার কাউন্টির উইক্সফোর্ড গ্রামের ভেতর দিয়ে
সরু আকাবীকা রান্তা ধরে চলেছি। যাচ্ছি সোহানার বান্ধবী লেডি
জোয়প্লিনের খামপ্রবাড়ির উদ্দেশে । ছাদ নামিয়ে দিয়েছি বেন্টলি
মসৃণ রাস্তা । পশ্চিমের মেঘগুলোকে নানান রঙে রাঙিয়ে দিয়ে অস্ত
গেছে সূর্য, এখন কালচে হয়ে বুজে আসছে গোধূলির আলো । রাস্তার
দুপাশে কোমর-সমান সবুজ খেত, দুলছে জোর হাওয়ায় | পুবে
আবছা ঢেউয়ের মত দেখাচ্ছে পাহাড়গুলোর আলোকিত চূড়া।
কুয়াশা ঢেকে ফেলছে বিশ্ব চরাচর।
অনেকদিন ধরে সোহানা আর আমাকে ওর ওখানে একটা সন্তাহ
বেড়িয়ে যাওয়ার জন্ম বারবার অনুরোধ করছিল লেডি জোয়ালিন
হেইফোর্ড । এতদিনে. সময় করতে পেরেছি, সোহানা কী-এক কাজে
আটকে গেছে, ও-ও এসে পড়বে দু’এক দিনের মধ্যে । কয়েকটা
দিন গ্রামের নিরিবিলি, শান্ত পরিবেশে বিশ্রাম নিয়ে তরতাজা হয়ে
ফিরে যাব যে-যার কাজে ।
ড্রাইভওয়েতে গাড়ি, থামতেই যেন আকাশের চাদ হাতে
পেয়েছে, এমনি ভঙ্গিতে চার ধাপ সিড়ি ভেঙে নেমে এল জোয়ালিন।
খুবই সমাদর করে ভিতরে নিয়ে গিয়ে বসালো । বাটলার উইলিকে
হুকুম দিল, ‘রানার সুটকেস দোতলায় ওর ঘরে নিয়ে গিয়ে রাখতে